রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচনের ডামাঢোল শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে আসলাম পারভেজ জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাটহাজারী উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন। এই প্রথম উপজেলা নির্বচনে প্রার্থীরা রাজনৈতিক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও হাটাহাজারীর রাজনৈতিক মাঠ জমজমাট হয়ে ওঠছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায়। পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যস্থ হয়ে পড়েছে ভোটার ও জনগণকে সাথে নিয়ে সভাসমাবেশ ও উঠান বৈঠকসহ চা চক্রের আয়োজনে। এবার উপজেলা নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীরা এলাকার বিভিন্ন ব্যানার পেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে প্রার্থীরা পরিচিত হচ্ছেন। এই ফাঁকে এলাকার বেকার যুবকদের কদরও বাড়ছে প্রার্থীদের কাছে। এবার উপজেলা নির্বাচনে বাংলাদেশ আ.লীগ হতে আনুমানিক এক ডজন সম্ভব্য প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও তবে বিএনপির তেমন কোন সম্ভব্য প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে না। আ.লীগ সম্ভব্য প্রার্থীর মধ্যে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. ইউনুছ গণি চৌধুরী, আ.লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য মো. জাফর আহাম্মদ, উত্তর জেলা আ. লীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম, হাটহাজারী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান, সাবেক ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী। বর্তমান মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ও এক কালের বাংলাদেশ ছাত্র লীগের তোখোড় ছাত্র নেতা আলহাজ মো. নুরুল আবছার, পাশাপাশি বিএনপির কোন সম্ভব্য প্রার্থীর নাম শুনা না গেলেও তবে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী এক নেতা নির্বাচনে অংশ নেবে বলে শুনা যাচ্ছে। এই দিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম এর কাছে জানতে তিনি জানান যদি দলিয় ভাবে নির্বাচন হয় তাহলে দল থেকে মনোনয়ন চাইবো মনোয়ন পেলে নির্বাচন করবো আর যদি মনোনয়ন না পাই তাহলে প্রধান মন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আ. লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে আমিসহ যুবলীগের সকল নেতা কর্মী তার কাজ করে যাবো, প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালি করে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশনের ১ নম্বর দক্ষিন পাহাড়তলী ওয়ার্ডসহ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে এই উপজেলা। এই হাটহাজারী উপজেলায় আনুমানিক সাড়ে চার লাকের কাছাকাছি জনগণের মধ্যে মোট ভোটার ৩ লাখ আট হাজার ৪ জন তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪ শত ৮১ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫ শত ২৩ জন। এসব ভোটারের জন্য সর্বমোট ১০৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা যায়।
সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সখিপুর উপজেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপক রফিকই রাসেলকে আ.লীগ মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন বহেড়াতৈল ও দাড়িয়াপুর ইউনিয়নবাসী। আ.লীগ মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে গত শনিবার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ মাস্টারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রফিকই রাসেলের সহধর্মনী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ট হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহনাজ বেগম, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম উপজেলা অবসরপ্রাপ্ত চাকরি ফোরামের সম্পাদক মেছের উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সখিপুর উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক দাড়িয়াপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শাইফুল ইসলাম শামীম, দাড়িয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ, বহেড়াতৈল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফেরদৌস, সখিপুর উপজেলা আ.লীগ সদস্য রাজা মাহমুদ, বহেড়াতৈল আ.লীগ সভাপতি সোহেল রানা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি খলিলুর রহমান, সখিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসানসহ দাড়িয়াপুর ও বহেড়াতৈল ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সখিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক রফিকই রাসেল বলেন, ১৯৭৯-৮২ বহেড়াতৈল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর সক্রিয় রাজনীতি শুরু করি, বিভিন্ন চড়াই উৎড়াই অতিক্রম করে বর্তমানে ২০১৫-১৯ উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হই। অদ্যবধি বিশ্ব মানবতার জননী দেশরত্ম শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ.দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার একজন লড়াকু সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি জননেত্রীর বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসাবে জনকল্যানে কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।