নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ছাত্র জহির রায়হান। গতকাল জিতলেন ২০০ মিটারেও স্বর্ণ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ২১.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করে স্বর্ণ জিতে নেন এই অ্যাথলেট। তবে ২০০ মিটারে সেরা হয়েও খুশি নন জহির। আর তার এই অখুশির কারণ হলো টাইমিং। জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ২০০ মিটারের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলেও টাইমিংটা তার মনের মতো হয়নি বলে জানান জহির।
দৌড় শেষ হওয়ার পর কুলডাউনের কোনো সময়ই পাননি বিকেএসপির এই অ্যাথলেট। সাবেক এক অ্যাথলেট তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘শেষ দিকটায় একটু স্লো হলে কেন? না হলে তো রেকর্ড হতো।’ জহিরের উত্তর, ‘টায়ার্ড ছিলাম। মাশলটাও ক্রাম করেছিল।’ ২০০ মিটারে রেকর্ড গড়তে পারেননি জহির রায়হান। ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ সাফ গেমসে ২১.১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হয়েছিলেন প্রয়াত মাহবুব আলম। তাই তো কাল জহির আফসোস করে বলছিলেন, ‘অল্পের জন্য হলো না।’ রেকর্ড তো পরের কথা। নিজের সেরাটাও টপকাতে পারেননি তিনি। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সামার মিটে জহির ২০০ মিটারে স্বর্ণ জিতেছিলেন ২১.৭০ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করে। এখন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সময় নিলেন ০০.০৮ সেকেন্ড বেশি। সাফল্য পেলেও দৌড় শেষে জহিরের মন খারাপের এটাও একটা কারণ।
মহিলাদের এই ইভেন্টে রেকর্ডের মধ্যদিয়ে শেষ হলো এবারের জাতীয় অ্যাথলেটিক্স। কাল প্রতিযোগিতার শেষ দিন মহিলাদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতলেন নৌবাহিনীর সোহাগী আক্তার। তিনি হারিয়েছেন দ্রুততম মানবী একই সংস্থার শিরিন আক্তারকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ২৫.০৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে ইলেক্ট্রনিক টাইমিংয়ে রেকর্ড গড়ে সেরা হন সোহাগী। শিরিনের টাইমিং ছিল ২৫.০৮ সেকেন্ড। ২৫ দশমিক ১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২০১৩ সালে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন জাকিয়া সুলতানা। রেকর্ড গড়তে পেরে নিজেও বিষ্মিত সোহাগী। জাতীয় পর্যায়ে ২০০ মিটারে চারবার সেরা হওয়া এই অ্যাথলেট দিলেন এসএ গেমসেও ভালো কিছু করার প্রতিশ্রুতি। সাফল্য পেয়ে সোহাগী বলেন,‘শিরিন বিকেএসপিতে অনুশীলন করলেও আমি এখানে (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে) করি। অনুশীলন নিয়ে সন্তুষ্ট আমি। বিশ্বাস ছিল সোনা জিতব। রেকর্ড গড়ার কথা ভাবিনি। জাকিয়া আপার রেকর্ড ভাঙ্গতে পেরে ভালো লাগছে।’ তিনি যোগ করেন,‘অনান্য দেশের অ্যাথলেটদের মতো আমাদের তো উন্নত মানের অনুশীলনের সুযোগ দেয়া হয় না। ওরকম সুযোগ দিলে এসএ গেমসে ভালো করা সম্ভব।’ দ্রুততম মানবী শিরিনের সঙ্গে সোহাগীর লড়াইটা দারুণ জমেছিল। শেষ পর্যন্ত ফটো ফিনিশিংয়ে শিরিনকে হারিয়েই ২০০ মিটারে সেরা হন সোহাগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।