বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস। স্বাধীনতাযুদ্ধে রণাঙ্গনের একজন বীরযোদ্ধা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র লেখাপড়ার পাশাপাশি ছিলেন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দুর্লভ বিশ্বাস প্রতিবাদ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জনের পর দীর্ঘ তিন দশক মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অধ্যাপনা করেন তিনি। মেধাবী এই মানুষটি সমাজে জ্ঞানের আলো জ্বালানোর পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছেন সর্বক্ষণ। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে দীর্ঘ ৭ মাস জেল খেটেছেন তিনি।
মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস দীর্ঘ তিন দশক ধরে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে বিজয়ী করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানেও আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন এই নেতা।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সুসংগঠিত করে জনমত গড়ে তুলতে দীর্ঘ ৮বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাজপথে থেকে নিরস্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। দেশে ২০১৩-১৪ সালে জামায়াত-বিএনপির আগুন সন্ত্রাস শুরু করলে দুর্লভ বিশ্বাস মির্জাপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে জীবনবাজী রেখে রাজপথে অবস্থান করেছেন।
অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সাংবাদিকতার হাতেখড়ি হলেও ১৯৮৭ সাল থেকে মির্জাপুরে অবস্থান করে সক্রিয়ভাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় দীর্ঘদিন কাজ করেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় মির্জাপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পরপর দুইবার মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গত ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হিসেবে দুর্লভ বিশ্বাস দলে শক্ত অবস্থান তৈরি করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও নেতৃবৃন্দের নির্দেশে পরে তা প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মির্জাপুরের আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অঙ্গনের দক্ষ ও ত্যাগী নেতা দুর্লভ বিশ্বাসকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের নেতাকর্মীসহ মনোনয়ন দেয়ার দাবি তুলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।
মির্জাপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি শরাফত আলী সম্পাদক দুলাল সরকার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর হাজী মো. সিরাজ মিঞা সম্পাদক নূরুল ইসলাম মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতির দক্ষ মেধাবী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
একই দাবি জানিয়েছেন মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। পরিষদের সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, সম্পাদক প্রমথেশ গোস্বামী শঙ্কর।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ বুকে লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের আন্দোলনের মাঠের একজন নগন্যকর্মী হিসেবে কাজ করছি। নিজের প্রার্থীতার বিষয়ে দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই মাথা পেত নিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।