Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৯ জন রিমান্ডে

অর্থ আত্মসাৎ, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পুলিশকে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলায় পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ৯ জনকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার অপর ৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

গতকাল বুধবার দুপুরে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৯ জনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে ৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। রিমান্ডের আসামিরা হচ্ছে-পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম, আরিফ, শেখ রহিম, রাসেল, শাহ্ আলম চঞ্চল, আরিফ হোসেন, কাওসার আহমেদ সাইফ ও মোয়াজ্জেম। অন্য ৭ জন আসামি হচ্ছে-বিএম আসলাম হোসেন, মেহেদী হাসান, জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, সোহেল তালুকদার, সম্রাট ও সাখাওয়াত হোসেন।
পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক জানান, বুধবার পল্টনের একটি ভবনে অর্থ আত্মসাৎ, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পল্টন থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। পল্টন থানার ৩৯ নম্বর মামলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং সেই অর্থ চাইতে গেলে বাদী আসলাম আহসান তুষারকে মারধর করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তুষার ও তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ২০১৮ সালে ১০ লাখ ৮০ হাজার অর্থ আত্মসাৎ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬, ৪২০, ৫০৬, ৩২৩ এবং ৪৪২ নং ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। পল্টন থানার যে মামলায় ৯ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সেটির বাদী এসআই আশরাফুল হক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারী সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করছে এমন তথ্য পেয়ে পল্টনের বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ভবনে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে আসামিরা অফিসের চেয়ার, টেবিল ও কম্পিউটার ভাঙচুর করছে। বাদী (এসআই আশরাফুল হক) আসামিকে ভাঙচুর না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশকেও মারধর করে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৯ এএম says : 0
    তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসে নেত্রী হাসিনা দুর্নীতি সহ সকল বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় এখন পুলিশ সঠিক ভাবে তাদের উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব পালনে সজাগ তাই এখন আমরা ছাত্রলীগ বা সরকারি দলের লোকজনদের উপর পুলিশই তৎপরতা লক্ষ করছি। এটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর খুবই ভাল উদ্যোগ মানতেই হবে। তারপরও কথা থাকে......................... আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আল্লাহ্‌র হেকমত বুঝে সেইভাবে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ