Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতের রায়ের পরও পায়নি স্বীকৃতি

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের অসহায় যুবক হাসেম আলী আদালতের রায়ের পরও পায়নি ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি। শুধুমাত্র পিতার পরিচয় পাওয়ার আশায় প্রায় ৩২ বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এই যুবক। নাটোরের সহকারী জজ আদালত (বড়াইগ্রাম) সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের যুবক হাসেম আলীর জন্ম ১৯৮৩ সালের ১০ ডিসেম্বর। একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বানছের আলীর প্রথম স্ত্রী মারা গেলে স্থানীয় মৌলভীর মাধ্যমে নিজের বাড়ির কাজের মেয়ে হাসিনা খাতুনকে বিয়ে করেন। পরে হাসিনা গর্ভবতি হয়ে পড়লে তাকে তাড়িয়ে দেন। সন্তানসহ মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা খারিজের ব্যবস্থা করে পরে আর তাদের মেনে নেয়নি বানছের আলী। হাসেম আলী ভোটার আইডসহ বিভিন্ন জায়গায় বাবার নামের জায়গায় বানছের আলীর নাম ব্যবহার করায় এক পর্যায়ে বানছের আলী নিজেই তার ছেলে হাসেম আলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানীর এক পর্যায়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর নাটোরের সহকারী জজ আদালত (বড়াইগ্রাম)-এর বিচারক মো. হুমায়ন আহম্মেদ বাদী ও বিবাদীর ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরীতে পাঠান। ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পিলু মমতাজ জানান, নাটোরের আদালতের নিদের্শে ঐ মামলার ছেলে দাবিদার হাশেম আলী তাদের কার্যালয়ে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য হাজির হলে তার বাবা মামলার বাদী বানছের আলী হাজির না হওয়ায় তাদের ডিএনএ টেস্ট করা সম্ভব হয়নি। নাটোরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজউদ্দিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এবং সকল স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সম্প্রতি নাটোরের সহকারী জজ আদালত (বড়াইগ্রাম)-এর বিচারক মো. হুমায়ন আহম্মেদ বাদীর মামলা খারিজ করে দেন এবং ছেলে দাবিদার হাশেম আলী এই মামলার বাদী বানছের আলীর সন্তান বলে রায় দেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বানছের আলী এই প্রতিবেদকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে নাটোর জেলা জজ আদালতে আপিল করেছেন। আর ঢাকায় ডিএনএ টেস্ট করতে না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হাসিনা খাতুনকে তিনি কখনো বিয়েই করেননি তাই ডিএনএ টেস্ট করতে যান নাই। এ বিষয়ে যুবক হাসেম আলী বলেন, আদালতও বিষয়টি বুঝতে পেরে রায় দিল তারপরও বাবা আমাকে মেনে নিচ্ছে না। আমি অবিলম্বে আমার পিতার পরিচয় পেতে চাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আদালতের রায়ের পরও পায়নি স্বীকৃতি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ