রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এম.এ মোহসীন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বৈলতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছে। প্রার্থীরা রাস্তা-ঘাটে, হাটে-বাজারে জনবহুল এলাকায় ভোটারদের সাথে কৌশল বিনিময় করছে। তবে নির্বাচনের যে আমেজ তা অনেকটা ঝিমিয়ে। চন্দনাইশ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। এদিকে বৈলতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়তে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মো. আনোরুল মোস্তাফা চৌধুরী, বিএনপি থেকে মো. মফিজ উদ্দিন, এলডিপি থেকে মো. মাহাবুবুল আলম, স্বতন্ত্র থেকে এস.এম সায়েম। বৈলতলী আ’লীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনোয়ারুল মোস্তাফা চৌধুরী দুলাল জানান, তিনি বৈলতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারলে ইউনিয়নের গরীব দুঃখী, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এবং আ’লীগ সরকারের প্রতি মানুষের আন্তরিক ও সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তথা বর্তমান সরকারের গ্রামীণ পল্লী উন্নয়নে কর্মকা-ে, কৃষি, শিক্ষা সহ সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকা- অব্যাহত রাখব। তিনি বৈলতলীতে অসম্পূর্ণ উন্নয়নমুখী কর্মকা-কে এ সরকারের সম্মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। অপর দিকে বিএনপি’র প্রার্থী মো. মফিজ উদ্দিন জানান, তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে বৈলতলীর গণ মানুষের সেবা করে বিএনপি সরকারের সম্মান ধরে রেখে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি বৈতলীতে গ্রামীণ মানুষের শিক্ষা উন্নয়ন, অবহেলিত রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ দুর্নীতি বন্ধ করে শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে কর্মকা- অব্যাহত রাখবেন এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। এলডিপি থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রাপ্ত মো. মাহবুবুল আলম তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে বৈলতলীকে একটি আধুনিক ইউনিয়নে রূপান্তর করবেন অবহেলিত বৈলতলীর রাস্তাঘাট, ব্রিজ সংস্কারসহ শিক্ষা উন্নয়ন করবে এবং নিরীক্ষরতা দূরীকরণ করে মানুষের সেবায় পাশে দাঁড়াবেন এবং কর্ণেল অলি আহমদ বীরবিক্রমের অতীতের সুনাম ধরে তার ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান। এদিকে স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এস.এম সায়েম জানান, তিনি নির্বাচিত হলে বৈলতলীর সর্বত্রে মানুষের সমস্যার কথা জেনে সব সমস্যা লাঘব কল্পে সার্বক্ষণিক গণ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি বৈলতলী থেকে মদ, জুয়া, গাজাসহ অনৈতিক, অসমাজিক কর্মকা- প্রতিরোধ করে বৈলতলীকে ডিজিটাল ইউনিয়নে পরিণত করবেন এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। বৈলতলী একটি কৃষি উন্নয়ন এলাকা হিসেবে কৃষকদের কৃষি কাজে সার্বিক সহযোগিতা চালিয়ে যাবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এ দিকে স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম সায়েম, বিএনপি থেকে মো. মফিজ উদ্দিন, এলডিপি’র মো. মাহবুবুল আলম শঙ্কা প্রকাশ করছেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা? তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে ভোটার কৃষক মখলেছুর রহমান ও নাছির উদ্দিন বলেন, বৈলতলীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে যিনি ভাল যোগ্য প্রার্থী তাকেই ভোট দেবেন। তবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মানুষ ব্যক্তি, যোগ্যতা ও গুণাবলী বিশ্লেষণ করে যাকে মানুষ কাছে পাবে তাকেই ভোট দেবেন। নিজের ভোট নিজে দেব, যাকে খুশী তাকে দেব-যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে বৈলতলী ইউনিয়ন রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকান শরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে। জনমনে শুধুই নির্বাচনকে ঘিরে আলাপ, আলোচনা ও নানান গুঞ্জন চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।