Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০ জানুয়ারি নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৫৯ পিএম

তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি সকালে ঘোষণা করা হবে নতুন বছরের প্রথম মুদ্রানীতি।

সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে (জুলাই’১৮-ডিসেম্বর’১৮) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৪২ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। নতুন মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।

একদিকে ব্যাংকে আমানতের প্রবাহ কমছে। বিপরীতে বেড়েছে খেলাপি ঋণ। এতে কমে যাচ্ছে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা। বাড়ছে বিনিয়োগ ব্যয়। কাঙ্খিত হারে রাজস্বও আদায় হচ্ছে না। এতে বাড়ছে সরকারের ব্যাংক ঋণ। এমন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সহজ হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের কাজ চলমান রাখতে বাড়ছে সরকারের ঋণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে পাঁচ হাজার ১১০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ৯২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে শেষে ব্যাংকঋণ ছিল ৮৮ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে জুনের তুলনায় বেড়েছে পাঁচ হাজার ১১০ কোটি টাকা।

তারল্য সংকটের কারণে অর্থবছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এ কারণেই দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কৌশল থাকবে। একই সঙ্গে এ ঋণের জোগান দিতে ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়ানোর জন্যও বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ তলানিতে রয়েছে। এখন বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নতি করতে না পারলে চলতি অর্থবছরে সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ঋণপ্রবাহ তথা বিনিয়োগের গতি ফেরানো যায়, সে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাবে মুদ্রানীতিতে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দু’বার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। ছয় মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে প্রণয়ন হয়। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রার সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুদ্রানীতি

৩০ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ