Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেবাস ও শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরিতে ইসলাম স্বাধীনতাবিরোধী ভয়ঙ্কর শক্তির ভূমিকা রয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাস্তবায়িত হলে আমাদের জাতীয় শিক্ষা বিপথগামী হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থারও বিলুপ্তি ঘটবে। প্রস্তুাবিত শিক্ষা আইনের ১১নং ধারার ২নং উপধারায় বলা হয়েছে, “নিবন্ধন ব্যতীত কোনো অবস্থাতেই কোনো বেসরকারি বিদ্যালয় বা মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে না।”সেক্যুলার শিক্ষানীতি, বিতর্কিত শিক্ষা আইন, হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচি বাধ্যতামূলক করায় একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিলেই দেশের হাজার হাজার কওমী মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এদেশ থেকে কওমী মাদরাসাগুলো ধ্বংস করতে পারলে ইসলাম বিদায় করাও সহজ হবে। আর জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে তৈরি অভিন্ন সিলেবাসের কারণে, আলিয়া মাদরাসাগুলোতে তো পৌত্তলিক এবং নাস্তিক্যবাদী শিক্ষার চর্চা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিতর্কিত এই শিক্ষানীতি এবং আমাদের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাস তৈরিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিরোধী একটি ভয়ংকর শক্তির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। কারণ, ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “সাঁকোটা দুলছে নামক” এমন একটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; যাতে ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে এবং পুনরায় বাংলাদেশ-ভারত একীভূত হওয়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেবা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ