ভোলরার চরফ্যাশনের মুরগি চুরির অপবাদে রুবেল (১৪) নামের এক কিশোরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদের নেতৃত্বে নির্যাতনের ঘটনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সমন্বয়ে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেছেন আদালত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে গতকাল সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। প্রতিবেদনটি নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে মানুষ এত নিষ্ঠুর হয়!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত ওই প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের নজরে আনেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ নভেম্বর নির্মম এই ঘটনা ঘটলেও নির্যাতনকারীদের হুমকি আর আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে পারেনি। নির্যাতনের নির্মমদৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় ঘটনার দুই মাসের বেশি সময় পর পুলিশ ভুক্তভোগীর মাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনকারী হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আমজাদ হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে গত শনিবার শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী রুবেলের মা বিলকিছ বেগমের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, রুবেল জেলে নৌকার বাবুর্চি। ঘটনার আগের দিন বনভোজন খাওয়ার জন্য রুবেলসহ বেশ কয়েকজন মুরগি কিনে আনেন। এই মুরগি চুরি করে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মেম্বার।
১৫ নভেম্বর ঘটনার দিন মুরগি চুরির অপবাদে স্থানীয় মেম্বার বাড়ি থেকে রুবেলকে ডেকে নিয়ে ৭নং ওয়ার্ডের হাজারীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রামবাসীর সামনে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে।