Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন দেশীয় ওষুধেই

তদন্ত প্রতিবেদনের পর নতুন তারিখ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

এবার দেশীয় কোম্পানির কাছ থেকে কেনা ওষুধেই আস্থা রাখছে জাতীয় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান। যার মেয়াদ রয়েছে আগামী বছর পর্যন্ত। এই দেশীয় ভিটামন এ ওষুধ দিয়েই নতুন করে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এটি পুরোপুরি নির্ভর করছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর। তদন্ত প্রতিবেদনের পাওয়ার পর সবকিছু বিবেচনা করা হবে।
গত দেশজুড়ে ঘোষিত হওয়া ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত হওয়ার পর নতুন করে কবে নাগাদ এ তারিখ ঘোষণা করা হবে, কোন ওষুধ খাওয়ানো হবে, সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিগগিরই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। নতুন ওষুধ কবে কাদের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল, জানতে চাইলে প্রফেসর ইউনুস বলেন, গত বছর দেশীয় এক কোম্পানির কাছ থেকে এই ওষুধ কেনা হয়েছিল। তবে আমরা সবকিছু দেখে এই ওষুধ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিবো।
সূত্র মতে, মান খারাপসহ চার কারণে শনিবারের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন স্থগিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা, ক্যাপসুলগুলোর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাব, ক্যাপসুলে ছত্রাকের বিস্তার ও শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকির এই চার কারণ বিবেচনায় নিয়ে ক্যাম্পেইনটি স্থগিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কিশোরগঞ্জে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণের সময় বলেছেন, ‘ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতে মামলা করে ভারতীয় ওই অখ্যাত কোম্পানি নিম্নমানের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে আমাদের বাধ্য করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ভারতীয় ওই কোম্পানির কোনো সুনাম নেই। মামলা করে তারা আমাদের ‘এ’ ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে। লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেনো এ রকম হলো পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশীয় কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরবরাহ করা এসব ক্যাপসুল কৌটায় একটার সঙ্গে আরেকটার সঙ্গে লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পেইন শুরুর তারিখ ঘোষণা করা হবে। ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠন করা কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক বলছেন, ক্যাম্পেইনের বিষয়টি হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আরও আগে কেন ক্যাপসুলগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলো না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা।
প্রসঙ্গত, এবার ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় দেশজুড়ে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের নীল ও লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল।#



 

Show all comments
  • Harun Ar Rashid ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
    অাগামী প্রজন্ম মেধাশূন্য করে জাতিকে ধ্বংস করতে চায় ভারত,সাথে সাথে দেশের স্বার্থ বলিয়ে দিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত অাছে দেশের কিছু মীরজাফর। ভারত অামাদেরকে ঔষধ কিনতে বাধ্য করবে কেন...অামাদের টাকায় কিনা ঔষধ যেখান থেকে ইচ্ছে সেখান থেকে কিনবো ওরা মামলা করার কে?ভারতের সাথে বাংলাদেশের এমন কোন চুক্তি করেছে কিনা কেউ অথবা অামরা কি ভারতের অঙ্গ প্রদেশ কিনা জাতি জানতে চায়
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon Kabir ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    মামলা করে ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে? ? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবজাল যদি ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক হয় তাহলে সচিব, মন্ত্রী এরা কত হাজার কোটি টাকার মালিক? ঐ কম্পানির কাছ থেকে কত হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন আগের মন্ত্রী সেটা তদন্ত করার জন্য আগের মন্ত্রী কে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক তাহলে সব রহস্য বের হয়ে আসবে
    Total Reply(0) Reply
  • Chhagalnaiya Feni ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু।এখনো সময় আছে জাগো বাঙালী জাগো ভারতের সমস্ত পন্য বর্জন কর। যারা বলছে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র তারা জেনে শুনে পুরা জাতীকে ধোকা দিচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Anis Rahman ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    তাহলে কি বুঝা গেল স্বাধীনভাবে ঔষধ কেনার মত স্বাধীনতাও আর অবশিষ্ট নাই?
    Total Reply(0) Reply
  • MD. Mizanul Hoque ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    পাকিস্তান আমাদের ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত শোষণ করেছিল। আর ভারত আমাদের ১৯৭১ থেকে এখনও পর্যন্ত শোষণ করে যাচ্ছে। যেদিন ভারতীয় শোষণ থেকে মুক্তি লাভ করব সেদিনই বাঙালি জাতি প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করবে। আমাদের সকলের উচিত ভারতীয় শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। ** আমরা ভারতীয় শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ চাই।**
    Total Reply(0) Reply
  • AK Masum ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের ঔষধ সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে!.....বাংলাদেশ ঔষধ রপ্তানিতে প্রতিবছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করতেছে।.... বাংলাদেশের ঔষধের আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম রয়েছে।... আর সারা বিশ্বে যে দেশের ওষুধ প্রস্তুত এর "র ম্যাটেরিয়ালস" সব চাইতে নিম্নমানের..... ...সেই ভারত থেকেই ভিটামিন এ ক্যাপসুল আমদানি করতে হয়....!???... .....অবিশ্বাস্য!..... তবে ঋণশোধের একটা ব্যাপার তো থেকেই যায়!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Fatema Akter ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশ কি ভারতের কাছে জিম্মি যে কিনতে বাধ্য করবে।আসলে ভারতের সাথে পিরিত ধরে রাখার জন্য।বাংলার মানুষ তো বোকা????
    Total Reply(0) Reply
  • Afzal Hossain ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৭ এএম says : 0
    আমরা কি ভারত নির্ভর হয়ে যাচ্ছি,ভারত আমাদের যা দেবে তা আমরা মেনে নেবো,এর নাম কি স্বাধীনতা? আর যারা এই নোংরা কাজের সাথে জড়িত তাদের সবাইকে এমন শাস্তি দিতে হবে,যা বাংলাদেশের প্রতেকটি দূর্নিতী গ্রস্ত মানুষ মনেরাখবে,
    Total Reply(0) Reply
  • Nur Mohammad ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    একটা স্বাধীন দেশকে কিভাবে অন্য দেশ নিম্নমানের ওষুধ কিনতে বাধ্য করে এটা আমার বুঝে আসে না৷ ভারত কেনো নিম্নমানের ওষুধ কিনতে বাধ্য করবে??? ভারত কি চায়??? বাংলার মানুষকে রাতকানা বানাতে চায়???
    Total Reply(0) Reply
  • Jubaid Khan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    অাহ!!! জেনে শুনে বিষ পান করছে বাংলাদেশী মুসলমান!! ভারত তার নিজ দেশের মুসলমানদের জন্ম রোধে, পঙ্গু বানাতে বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করছে অার তারা ৯০% মুসলিমের বাংলাদেশের জন্য কি করতে ভেবে দেখুন তো!!
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Kishwar Rashid ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    ভারত কমিশন বেশি দেয় তাই ওখান থেকেই কেনা হয়। এটাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নাই। এটা চলছে এবং চলবেই। আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওষুধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ