পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। গতকাল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তাকে নেয়া হয়। রোগীর সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) মোঃ খালেদ আখতার, এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ এবং মোর্শেদ এর স্ত্রী রুখসানা খান মোর্শেদ। দীর্ঘদিন থেকে প্রায় ৮৮ বছর বয়সী এরশাদ নানান জটিল রোগে ভুগছেন। বর্তমানে এরশাদ গুরুতর অসুস্থ। বার্ধক্যজনিত কারণে তার শরীর বেশ ভেঙে পড়েছে। প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়েছেন। লোকমা ধরে খেতে পারছেন না। দীর্ঘদিন থেকে উঠতে-বসতে ও হাঁটাচলায় সমস্যা হলেও কয়েকদিন ধরে তার নড়াচড়া করার সামর্থ্য কমে এসেছে। পরিচিতজনকে চিনতে কষ্ট হয়। এককথায় বয়োবৃদ্ধ এরশাদ বিছানায় পড়ে গেছেন। তবে রাজনৈতিক কারণে এই গুরুত্বর অসুস্থতা গোপন করে রাখা হচ্ছে। গতকালও এরশাদের ডিপুটি প্রেস সেক্রেটারীর বরাত দিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এরশাদ নিয়মিত চেক-আপের জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন।
এর আগে অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেন। এমনকি নভেম্বর মাসের বেশির ভাগ সময় তিনি সিএমএইচএ চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি সিঙ্গাপুর যান চিকিৎসা নিতে। অতপর দেশে ফেরেন ২৭ ডিসেম্বর। অসুস্থতার কারণে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ভোট দিতে যাননি। ভোটের পর ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিলেও তিনি অসুস্থতার কারণে শপথ নিতে পারেননি। বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। পরে ৬ জানুয়ারি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে হুইল চেয়ারে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। তার আগের দিনই এরশাদ হাসপাতালে ভর্তি হন।
১৯৩০ সালে জন্ম নেয়া এরশাদের বর্তমান বয়স এখন ৮৮। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছেন। তবে তার দলের পক্ষ থেকে তার নির্দিষ্ট কোনো অসুখের কথা কখনোই প্রকাশ করা হয়নি। গুরুত্বর অসুস্থ এরশাদকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার আগের দিন সিএমএইচ থেকে বারীধারার বাসায় আনা হয়।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা। তার দল থেকে এবার কাউকে সরকারের মন্ত্রিসভায় নেয়া হয়নি। সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন পাচ্ছেন ৪ জন। এরশাদ এতোমধ্যেই ৪ জনের নাম ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বরাবরের মতো সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন দলের পক্ষ্য থেকে মহিলা এমপি পদে মনোনীতের জন্য ৩৭ জন নেত্রীর কাছে ফরম বিক্রী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-কে বিদায় জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, এ্যাড. সালমা ইসলাম, ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর, সোমনাথ দে, নাজমা আখতার, নুরুল ইসলাম নুরু প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।