পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা কম থাকায় শিল্প গ্রাহকদের কাছে গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায় সরকার। এজন্য দাম কমিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি ক্যাপটিভের ব্যবহার কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সরকার চাচ্ছে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ুক। শিল্প মালিকরা যাতে নিজেদের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেয়া এবং বিদ্যুৎ এখন সহজলভ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এর বাইরে আরও দুই হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্যাপটিভ পাওয়ার রয়েছে। তবে শীতকালের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশিরভাগই রয়েছে বন্ধ। তবে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই দিতে হয়। এতে সরকারকে আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই সাশ্রয়ী কোনও ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে।
স¤প্রতি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সভায় বড় গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির হারের সঙ্গে নতুন সংযোগ দেওয়ার তাল মিলিয়ে না চললে উৎপাদন ক্ষমতা অব্যবহৃত থেকে যাবে। এখন শীত মৌসুমের শুরুতেই সকালের বিদ্যুতের চাহিদা ছয় হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই নতুন শিল্প সংযোগ বৃদ্ধির কৌশল বের করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে পারলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। শিল্পক্ষেত্রে ট্যারিফ কিছুটা কমালে যদি অফপিক সময়ে চাহিদা ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াটও বেড়ে যায়, তাহলে মোট প্রাপ্ত দাম বাড়বে কিনা সেজন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে পর্যালোচনার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
গ্রিডের বিদ্যুতের বেশিরভাগের ক্রেতাই গৃহস্থালির গ্রাহক এবং ছোট শিল্প মালিক। বড় শিল্প মালিকদের বেশিরভাগই গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেয় না। কারণে শীতের সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসে থাকতে হয়। এ সময় এসি-ফ্যানের লোড থাকে না। এই সময়টিতে শিল্প গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করলে তা পিডিবির জন্য লাভজনক বলে বিবেচনা করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিদ্যুতে সঠিক পরিকল্পনার অভাব এখনো রয়েছে। যেখানে দেশের বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসে থাকতে হয়, সেখানে আরও হাজারখানেক ক্যাপটিভ বিদ্যুতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে শিল্পে গ্রিডের বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হবে না। উৎপাদন আধিক্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
পাওয়ার সেল সূত্রে জানাগেছে, শিল্প মালিকরা যে ক্যাপটিভে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তার পরিচালন ব্যয় ও উৎপাদন ব্যয় কেমন, অন্যদিকে গ্রিড থেকে যদি তারা বিদ্যুৎ নেয় সেই খরচ কত, ক্যাপটিভ থেকে তারা যে মানের বিদ্যুৎ নিচ্ছে সেই মানের বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে দিতে হলে কীভাবে দেওয়া যাবে, যদি এই দুয়ের মধ্যে দামের পার্থক্য হয়, সেই পার্থক্য কতটুকু, সেই দাম যদি কমিয়ে আনা হয়, তাহলে কী হবে, এসব বিষয়ে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পাওয়ার সেল।
এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিবেদন তৈরির পর এটি সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। এরপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বড় পরিসরে আলোচনার করা হবে। সরকার চাচ্ছে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ুক, শিল্প মালিকরা যাতে নিজেদের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেয়। কারণ, গ্রিডে বিদ্যুৎ এখন সহজলভ্য। তিনি বলেন, এই কাজ করতে গিয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে- তারমধ্যে দাম একটি, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটি এই বিষয়গুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।