পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনকে (বিআরটিসি) ৯৪৬টি বাস কিনে দেয় সরকার। এগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থাটির বহরে পুরোনো বাস ছিল ৫৯২টি। সব মিলিয়ে দেড় হাজারের বেশি বাস থাকলেও সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করেনি বিআরটিসি। এতে প্রায় ৬০০ বাস অচল হয়ে পড়ে আছে। বাকি বাসের বেশিরভাগই ইজারায় চালানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে ভারত থেকে আরও ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক কেনার চুক্তি করেছে বিআরটিসি। এগুলো দেশে আসতে শুরু করেছে। এর পরও নতুন ৫০০ বাস ও ১০০ ট্রাক কিনতে চাইছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান বিআরটিসির চেয়ারম্যান। এতে নতুন বাস-ট্রাকগুলো কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ভারত থেকে কেনা বাস-ট্রাকের দাম বিবেচনা করা হয়েছে। তবে ইউরোপের দেশগুলো থেকে কিনতে গেলে ব্যয় আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
তথ্যমতে, গত বছর বিআরটিসির বহরে বাস ছিল এক হাজার ৫৩৮টি। এর মধ্যে ১০৮টি বাস কনডেম (ব্যবহার-অযোগ্য) ঘোষণা করা হয়। এতে বাসের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৪৩০। এর মধ্যে দৈনন্দিন চলাচল করছে ৮২৬টি। আর ৬০৪টি বাস অকেজো অবস্থায় বিভিন্ন ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এর বড় অংশই ছিল সিটি বাস। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩৪টি ও সচিবালয়ের স্টাফ বাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ১৪৪টি।
বাকিগুলোর মধ্যে শুধু এসি বাসগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালাচ্ছে বিআরটিসি। আর নন-এসি, দ্বিতল ও আর্টিকুলেটেড (দুই বগির জোড়া লাগানো) বাসগুলো ইজারায় চলছে। দৈনিক জমার ভিত্তিতে এসব বাস ইজারা দেয় বিআরটিসি।
এরই মধ্যে বিআরটিসির বহরে যুক্ত হচ্ছে ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক। এর মধ্যে ৩০০ দ্বিতল বাস, ১০০ এসি দূরপাল্লার বাস, ১০০ এসি সিটি বাস ও ১০০ নন-এসি সিটি বাস রয়েছে। অপর প্রকল্পের আওতায় ১৫ টনের ৩৫০টি ও ১০ টনের ১৫০টি ট্রাক কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। এর পরও নতুন করে বাস-ট্রাক কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিসি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এর কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরে একই রাস্তায় মোটরাইজড ও নন-মোটরাইজড গাড়ি একসঙ্গে চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে ও প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এজন্য ঢাকা ট্রাফিক বিভাগ ঢাকা মহানগরের কিছু সড়কে নন- মোটরাইজড গাড়ি বন্ধ করে বড় একতলা বাস চালু করতে চায়। এ বিষয়ে বিআরটিসির সহায়তা চাওয়া হয়। তবে ট্রাফিক বিভাগের চাহিদা মেটানোর মতো দুই দরজা বিশিষ্ট পর্যাপ্ত বড় একতলা বাস বিআরটিসির নেই। এজন্য ২০০টি একতলা নন-এসি সিটি বাস ও ২০০টি একতলা এসি সিটি বাস সংগ্রহ করা অত্যাবশ্যক।
স্কুলের শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি ১০০টি নন-এসি স্কুল বাস কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে যানজটের অন্যতম কারণ ছোট গাড়ি। বড় স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করে। ছুটি পর্যন্ত এসব গাড়ি স্কুলের পাশের রাস্তায় পার্কিং অবস্থায় থাকে। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে স্কুল বাস ব্যবহার করা গেলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছোট গাড়ির পরিবর্তে কয়েকটি বাস দিয়ে সমপরিমাণ শিক্ষার্থী পরিবহন করা যাবে। ফলে যানজট লাঘব হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিআরটিসির ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন করা হয়। বর্তমানে বহরে কোনো ভ্যান ট্রাক না থাকায় এবং খোলা ট্রাকে মূল্যবান পণ্য পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিআরটিসির ট্রাক অনেকে ব্যবহার করছে না। ফলে বিআরটিসির কাঙ্খিত রাজস্ব অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানে অনেকে খোলা ট্রাকের পরিবর্তে ভ্যান ট্রাক ব্যবহার করতে আগ্রহী। এজন্য বিআরটিসির বহরে ১০০টি ভ্যান ট্রাক সংযোজন করা প্রয়োজন।
এদিকে বিআরটিসির ডিপোগুলোতে বাস পরিষ্কারের জন্য পাঁচটি ওয়াশিং প্লান্ট সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয় চিঠিতে। সব মিলিয়ে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৯৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে নন-এসি সিটি বাসগুলোর দাম ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, এসি সিটি বাস ২৭৭ কোটি ছয় লাখ, ১০০ স্কুল বাস ৬০ কোটি চার লাখ, ভ্যান ট্রাক ৩৫ কোটি ৭২ লাখ ও ওয়াশিং প্লান্ট পাঁচ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
প্রকল্পটির জন্য বিদেশি সহায়তা খোঁজার প্রস্তাব করা হয় চিঠিতে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিদেশি সহায়তা ধরা হয়েছে ৩৪৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর ১৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।