জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ শিরোনামে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের জঙ্গিবাদবিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানী বনানীতে রয়েল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক শাকিল খান। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব তারুণ্যের উপর নির্ভরশীল। এই তরুণরাই একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে আবার একটি জাতি ধ্বংসের জন্য তরুনরাই যথেষ্ট। তাই তরুণ প্রজন্মকে সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা এই তারুণ্যের শক্তিতে সন্ত্রাসবাদের কাজে লাগিয়ে একটি মহল ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই কারো ভুল প্ররোচণা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে দেশের ও জনগণের উন্নয়নে সুখী সমৃদ্ধশালী
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সঙ্গে। জঙ্গিবাদ মুক্ত, মাদকমুক্ত সুন্দর আগামী গড়তে তরুনরাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর কানতারা খান। তিনি বলেন, সুচিন্তা তুরুণদের প্লাটফর্ম। নানা সচেতনতামূলক কাজ করে থাকে সুচিন্তা। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ আরাফারেত নির্দেশে নিয়মিত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে সেমিনার করে আসছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের ফলে ইসলাম কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। তারা যে ইসলামের কত বড় শত্রু তা আমাদের বোঝা দরকার। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য হাজার কোটি টাকার কাজ নিয়ে এসেছিল জাপানের কিছু প্রতিনিধি। হলি আর্টিজানে তাদের জবাই করে হত্যার পর কতটা কষ্ট করে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে তা সরকারই ভাল বলতে পারবেন। এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল দেশের শত্রুরা। তারা ইসলামের শত্রু। পরবর্তীতে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সফলতার পর এখন বিশ্বে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এই অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। এমনি ইউরোপ আমেরিকাতে আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যেয়ে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের।
তিনি আরও বলেন, জয় বাংলা ও বাংলাদেশ একই জিনিস। জয় বাংলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যাবে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে। কেউ বাধা দিতে পারবে না।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি মতবাদ, এই মতবাদকে রুখতে হলে বা কাউন্টার দিতে পাল্টা মতবাদ লাগবে। হতে হবে সচেতন। সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ জঙ্গিবাদ নির্মূলে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জঙ্গিবাদের মত অপশক্তিকে দানা বাঁধতে দেয়া যাবে না।
অনুষ্ঠান শেষে সুচিন্তা’র গবেষণা সেলের পক্ষ থেকে আশরাফুল আলম শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদ সমর্থন, অসমর্থন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক জব্বার হোসেন।