Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেয়াঘাটের হালখাতা!

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আবহমান কাল থেকেই গ্রাম বাংলার মানুষ হালখাতার সঙ্গে পরিচিত। সচরাচর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হলেও এবার ব্যাতিক্রমী হালখাতার আয়োজন হয়েছে বড়াইগ্রামের রামাগাড়ি গ্রামের নন্দকুজা নদীর খেয়াঘাটে। অন্য হালখাতা একদিন হলেও এটি আট দিনব্যাপী চলবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে লিজ নেয়া মাঝি অজিত কুমার এ হালখাতার আয়োজন করেছেন। বৈচিত্র্যময় এ আয়োজন স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে দারুণ কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।

জানা যায়, জেলার বড়াইগ্রাম ও বাগাতিপাড়া উপজেলার সীমান্তে নন্দকূজা নদীতে ফেরিঘাট খ্যাত দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দুই উপজেলার ২০টি গ্রামের অর্ধ-লাখ জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এক সময় খেয়া নৌকা থাকলেও কয়েক বছর ধরে স্থানীয় অজিৎ মাঝি নদীতে চারফুট চওড়া ও প্রায় আড়াই’শ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন। নৌকার পরিবর্তে এ সাঁকোয় পারাপারে কেউ নগদ দেন, কেউ বকেয়া রাখেন। পরে বাৎসরিক হিসাবে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ধান বা টাকা নেন তিনি। তবে দূর-দূরান্তের যারা চলাচল করেন তাদের বাড়ী গিয়ে ধান বা টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় এই হালখাতার আয়োজন। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটের পূর্ব পাশে রঙিন কাগজ আর লাল নীল বাতিতে সাজানো ছোট্ট প্যান্ডেলে হালখাতা চলছে। গেটে বড় বড় অক্ষরে লেখা শুভ হালখাতা। হালখাতায় আমন্ত্রিতরা হাসিমুখে লুচি-মিষ্টি খাচ্ছেন। প্রায় আড়াই হাজার লোক আটদিন ব্যাপী চলা এ হালখাতায় অংশ নেবে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ সময়ব্যাপী হালখাতা প্রসঙ্গে অজিৎ কুমার মাঝি জানান, বনপাড়া, রামাগাড়ী, দয়ারামপুর, বিদ্যুৎনগর, চাঁদপুর ও সোনাপুর হাটসহ আশেপাশের হাটগুলো সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে বসে। একেক এলাকার লোক একেক হাটে যায় তাই তাদের সুবিধার জন্য বেশি সময় ধরে হালখাতা করতে হচ্ছে। এতে তার খরচ বেশি হলেও সবার সুবিধার্থে এমনটি করতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালখাতা!

১৮ জানুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ