প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলা চলচ্চিত্রকে যদি একটি আলাদা জগত ধরা হয় তাহলে সুচিত্রা সেন সেই জগতের রানী। তার অপরূপ সৌন্দর্য আর সুনিপুন অভিনয় সিনেমাপ্রেমীদের চুম্বকের মতো আকর্ষন করতো। এমন কোন বাঙালি নেই যিনি এই অভিনেত্রীর হাসি আর চাহনিতে মাতোয়ারা হননি।
আজ (১৭ জানুয়ারি) এই কালজয়ী কিংবদন্তী নায়িকার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন সুচিত্রা সেন। তখন তার নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পেশায় শিক্ষক। সুচিত্রা ছিলেন বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান। পাবনাতেই রমা দাশগুপ্তের পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা।
১৯৪৭ সালে শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুচিত্রার। তখনও রূপালি পর্দায় আসেননি তিনি। ১৯৫২ সালে রমা দাশগুপ্ত এলেন বাংলা সিনেমায়। তার নতুন নাম হল সুচিত্রা সেন। ‘শেষ কোথায়’ সুচিত্রা হয়ে ওঠা রমা দাশগুপ্তের প্রথম ছবি। ১৯৫৩ সালে উত্তরকুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তী নায়িকাকে।
জীবদ্দশায় সুচিত্রা সেন ৫৯টি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। হিন্দি ভাষায় সুচিত্রা সেনের সর্বজনপ্রশংসিত ছবি ‘আঁধি’ (১৯৭৪)। ছবিটিতে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত অন্যান্য হিন্দি ছবির মধ্যে আছে ‘মুসাফির’, ‘মমতা’, ‘বোম্বাই কা বাবু’ ইত্যাদি।
অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন সুচিত্রা সেন। বেস্ট অ্যাকট্রেস অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও ১৯৭২ সালে পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’। ২০১২ সালে তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর ২০০৫ সালে সুচিত্রাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অন্তরাল ভেঙে পুরস্কার নিতে রাজি হননি বলে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কেন তিনি অন্তরাল বেছে নিয়েছিলেন, তা আজও সবার কাছে এক রহস্য!
এদিকে সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাবনা জেলা প্রশাসন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন তাকে নিয়ে স্মরণসভার আয়োজন করেছে। সকাল ১০টায় মহানায়িকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন সরকার। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতার এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।