নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের পর এবার বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৯ মহিলা টুর্নামেন্টেরও স্বত্ত¡াধিকারী হলো ‘কে স্পোর্টস’। গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা, সিলেট ও কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পঞ্চম আসরের স্বত্ব পেয়েছিল এই বিপণন প্রতিষ্ঠানটি। এ ধারাবাহিকতায় আগামী এপ্রিলে নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের স্বত্ব তাদের হাতে তুলেই দিলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আগের দিন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় কে স্পোর্টস’কে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের স্বত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর গতকাল বাফুফে ভবনে এ সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ এমএ করিম স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
দেশের ফুটবলে গেল বছরই প্রথম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আতœপ্রকাশ হয় ‘কে স্পোর্টসে’র। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে নিজেদের চাহিদা মতো মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ায় নারীদের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও থাকতে আগ্রহী হয় তারা। তাদের এই আগ্রহ লুফে নিয়ে বাফুফে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিও করে ফেলে। কাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ করিম বলেন, ‘বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৯ মহিলা টুর্নামেন্ট বলে আমরা মানগত কোনো তারতম্য করব না। টিভি সম্প্রচার থেকে শুরু করে সব কিছুই সর্বোচ্চ মানের যাতে হয় সে চেষ্টাই করব। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টেও বাফুফে আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ।’
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের। ইতোমধ্যে এশিয়ার পাঁচটি অঞ্চলের (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল) ১০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা । তবে টুর্নামেন্টে কারা অংশ নেবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতির কথা, ‘এশিয়ার পাঁচটি অঞ্চল। আমরা প্রতি জোনেই চিঠি পাঠিয়েছি। কয়েক দিন পর আমরা দলগুলোর নাম জানাতে পারবো। তখন জানাতে পারবো কারা অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এখনো সময় রয়েছে। আমরা ফেব্রæয়ারি মাস পর্যন্ত সময় পাচ্ছি দলগুলোর উত্তরের জন্য। কারণ বিভিন্ন দেশ নানা টুর্নামেন্ট খেলতে ব্যস্ত আছে। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
টুর্নামেন্টটি দেশের মহিলা ফুটবলের জন্য ইতিবাচক হবে বলে মনে করছে বাফুফে। মঙ্গলবার রাতে বাফুফের নির্বাহী কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন,‘ আমরা শুধু অভিনন্দন জানাতে গিয়েছিলাম। অন্য কোনো বিষয় আলাপ হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সময়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তিনি এগিয়ে যেতে বলেছিলেন।’ বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৯ মহিলা টুর্নামেন্টের ভেন্যু হিসেবে ঢাকাকেই বেছে নেয়া হবে বলে জানান বাফুফে সভাপতি।
এদিকে সামনে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের ব্যস্ত সূচি। ২৭ ফেব্রæয়ারী থেকে মিয়ানমারে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা শুরু হবে। এছাড়া ১২ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত নেপালে চলবে সাফ সিনিয়র নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপরই ঢাকায় বসবে বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৯ মহিলা টুর্নামেন্টের প্রথম আসর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।