মৌসুমের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেছে। এখনো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বদলি খুঁজে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি জানুয়ারির দলবদলের বাজারে সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভাবা হচ্ছিল ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোন নড়াচড়াই লক্ষ্য করা যায়নি।
গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময় বার্নাব্যু থেকে জুভেন্টাসে পাড়ি দেন নয় বছর ধরে দলটির সাফল্যের সারথী হয়ে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যার অভাব পূরণ করতে পারেনি রিয়াল। বেল-বেনজেমারা প্রথম দিকে ভালো কিছুর আশ্বাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। মাঠের পারফর্মান্সে বার বার তার প্রমাণ মিলছে। বেল তো এক ম্যাচ খেলেন তো দুই ম্যাচ ইনজুরির কারণে থাকেন মাঠের বাইরে। সম্প্রতি বেনজেমার হাতের আঙ্গুলের অস্ত্রোপচারে ব্যাপারটা শোনা যাচ্ছে। সব মিলে পরীক্ষিত একজন স্ট্রাইকার মাদ্রিদের দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
রোনালদোর অভাব পূরণ করতে নেইমার-এমবাপে-হ্যাজার্ডদের নামই কেবল উচ্চারিত হয়েছে বারংবার। কাজের কাজটি করতে পারেনি রিয়াল। চলতি শীতকালীন দলবদলের বাজারে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন ইন্টার মিলানের মাউরো ইকার্দি ও সেরি আ’র আরেক ক্লাব জেনোয়ার ক্রেজিজতফ পিয়াতেক। তবে বø্যাঙ্কোস দলটির ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনায় রয়েছে তারা। তবে এটাও সত্যি ভিনিসিয়াসদের মত উঠতি তারকাদের দিকে তাকিয়ে থাকারও সময় নেই রিয়ালের। বর্তমান সমস্যা মেটাতে চাই পরীক্ষিত স্ট্রাইকার। সেক্ষেত্রে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ইকার্দিই হতে পারে সবচেয়ে ভালো পছন্দ। ২৫ বছর বয়সী চলতি মৌসুমে ২৩ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল। গত মৌসুমে ছিলেন সেরি আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইন্টারের সঙ্গে তার নতুন চুক্তিও থেমে আছে। ইকার্দির বউ ও এজেন্ট ওয়ান্দা নারার সঙ্গে ইন্টার বোর্ডের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। সবকিছুই বার্সেলোনা একাডেমিতে বেড়ে ওঠা ইকার্দিকে রিয়ালের সম্ভব্য তারকা হয়ে ওঠার সহায়ক বলেই মনে হচ্ছে।
রিয়াল অবশ্য ইকার্দির জন্য রিলিজ ক্লজের ১১০ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি না। এক্ষেত্রে জেনোয়া স্ট্রাইকার পিয়েতেক হতে পারেন দারুণ বিকল্প। ২৩ বছর বয়সী পোলিশ ইন্টারন্যাশনালকে বলা হচ্ছে ‘পরবর্তি রবার্ট লেভান্দোভস্কি’। চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচে করেছেন ১৯ গোল। রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে গুঞ্জন। তবে আপত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বড় দান মারার অপেক্ষায় রয়েছে রিয়াল। সেই অপেক্ষাটা যে এডেন হ্যাজার্ড ও কিলিয়ান এমবাপের জন্য তা না বললেও চলে।