Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২০ সালে ৫জি

সেবার মান নিশ্চিত না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

২০২০ সালে বাংলাদেশে ৫জি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন বিভাগের কমিশনার মোঃ রেজাউল কাদের জানান, সরকার ২০২০ সালে ৫জি চালু করার কথা ভাবছে। তবে তার আগে গ্রাহকদের আরও ডাটার (ইন্টারনেট) চাহিদা বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা নতুন প্রযুক্তি আনারও চিন্তা করছে। যাতে করে ওই সময়ের আগে গ্রাহকদেরকে ৫জি’র উপযোগী করে তোলা যায়। অন্যদিকে বিটিআরসির (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন সেবায় মান নিশ্চিত না করলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা।
গতকাল (বুধবার) দুপুরে বিটিআরসিতে টেলিকম রিপোটার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। বিটিআরসি’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মোঃ আমিনুল হাসান, সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের লে. কর্ণেল আজিজুর রহমান, টিআরএনবি সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম সজল ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে বক্তব্য রাখেন। এসময় বিটিআরসি এর কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, সম্প্রতি বিটিআরসি বিভিন্ন ভেন্ডর ও অপারেটরদের সাথে ৫জি চালু করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। এতে সকলেই জানিয়েছে বর্তমান যে ডাটার ব্যবহার এর চেয়ে ২২ ভাগ গ্রোথ হলে ৫জি চালুর উপযোগী হবে। এজন্য সরকার গ্রাহকদের ডাটার ব্যবহার বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি আনার চিন্তা করছে। এর মধ্যে ফাইবার এট হোমের মতো ওয়ারলেস এট হোম টেকনোলজির চিন্তা করছে বিটিআরসি।
সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা তুলে মোঃ জহুরুল হক বলেন, আমরা ২০১৮ সালে টেলিযোগাযোগ খাতে অনেক কিছু অর্জন করেছি। ফোরজি সেবা চালু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন, এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি), টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স, কোয়ালিটি অব সার্ভিস রেগুলেশনসহ আরও অনেক কিছু করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে সেবার মান নিশ্চিত করা। এটাকেই আমরা ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, সেবার মান নিয়ে আমরা খুব তৎপর। কারণ মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবা নিয়ে অনেক অভিযোগ। কলড্রপ নিয়ে মানুষ অনেক বিরক্ত। মন্ত্রীর সাথে আমার (বিটিআরসি চেয়ারম্যান) কথা বলার সময়ও কয়েকবার কলড্রপ হয়। তাই আমরা কোয়ালিটি বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে আমরা অপারেটরদের নোটিশ দিয়েছি তাদের সেবার মান ঠিক করতে। প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে মানুষ মানসম্পন্ন সেবা পায়।
সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের লে. কর্ণেল আজিজুর রহমান বলেন, আমরা খুব দ্রুত অপারেটরদের চিঠি দিয়ে বলবো কোয়ালিটি অব সার্ভিস বাড়াতে হবে। অন্যত্থায় তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভিস কেটে নেয়া হবে (সেবা দেয়ার সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হবে)।
৭ দিনের কম প্যাকেজ বন্ধ: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ দিনের কম ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। ওই নির্দেশনা দিয়ে কমিশন থেকে খুব শীঘ্রই সকল মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে চিঠি পাঠাবে। এর আগেও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৭ দিনের নিচের প্যাকেজ বন্ধ ঘোষণা দিয়েও তা থেকে সরে এসেছিল। এ প্রসঙ্গে জহুরুল হক বলেন, ওই সময় সিদ্ধান্ত নিলেও তখন বেশিরভাগ মোবাইল ফোন কোম্পানির বহু প্যাকেজ থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে তা কার্যকর করা যায়নি। এসব প্যাকেজ সব ফেব্রুয়ারিতে শেষে হয়ে যাবে। এরপরই তা কার্যকর হবে।
গত বছরের ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে দেশে প্রথম ৫জি টেস্ট করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটিই ছিল প্রথম ৫জি টেস্ট। সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও মোবাইল অপারেটর রবি এবং টেলিকম ভেন্ডর ওয়াওয়ে এই টেস্ট রানের আয়োজন করেছিল। গত বছর দেশে ৪জি চালু হয় এবং ২০১৩ সালে চালু হয় ৩জি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিটিআরসি

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ