Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার নজর চাকমা ও হাজং সম্প্রদায়ের ওপর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬’র কারণে আসামে বাঙ্গালী হিন্দুদের উপর এখন সবার নজর। রাজ্যের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন এরা আহমিয়া (আসামের অধিবাসী) জনগণের সঙ্গে মিলে লোকসভার ১৮টি আসনে বিজেপিকে বিজয়ী করতে পারে। এসব আসনে বাঙ্গালী মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু অরুনাচল প্রদেশ ও মিজোরামে বৌদ্ধ চাকমা ও হিন্দু হাজং জনগোষ্ঠী বিরোধিতার সম্মুখিন হয়েছে। ১৯৬০’র দশকে এরা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান থেকে সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। মিজোরামের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ বড় আকারের চাকমা জনগোষ্ঠী কয়েক যুগ ধরে বাস করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মিজো মনে করেন যে ১৯৬০’র দশকে কাপ্তাই বাঁধ দেয়ার কারণে বাস্তচ্যুত হয়ে পার্শ্ববর্তী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে চাকমারা মিজোরামের গিয়ে বসতি স্থাপন করে। পরে আরো অনেকে আসে। এদের মধ্যে ২০০০-এর মতো হাজংও ছিলো। এরা মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বী। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের কারণে এরা চলে যায় বলে মনে করা হয়। প্রায় ৫,০০০ চাকমা ও কিছু হাজং তখন মিজোরামে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলো। তখন লুসাই পর্বত ছিলো আসামের অংশ। এখন তা অরুনাচলে পড়েছে। অরুনাচল প্রদেশের আদিবাসী গ্রুপগুলো বলছে যে এসব জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা এখন ১০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু চাকমা ও হাজংরা বলছে তাদের সংখ্যা উল্লেখিত সংখ্যার অর্ধেক। প্রভাবশালী অল অরুনাচল প্রদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তোবম দাই বলেন, আমরা এই বিলের বিরোধিতা করি। কারণ এই বিল পাস হলে তা চাকমা ও হাজং উদ্বাস্তুরা রাজ্যের আদিবাসী জনগনের মতোই নাগরিকত্ব দাবির আইনগত ভিত্তি পেয়ে যাবে। তাছাড়া বর্তমানে কার্যকর রয়েছে এমন অনেক আইনও বাতিল হয়ে যাবে। ৮ জানুয়ারি লোকসভায় বিলটি পাস হয়। এতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে পারি জমানো সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন কাগজপত্র না থাকার পরও তারা ছয় বছর ভারতে অবস্থান করলেই নাগরিকত্ব পাওয়ার দাবি করতে পারবে। কিন্তু বিলটিতে কোন দেশের সংখ্যালঘু মুসলমান, যেমন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বা পাকিস্তানের আহমদিয়া বা শিয়াদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়নি। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ছাড়াও, বিজেপি’র মিজোরাম শাখা এই বিলের বিরোধী। এর প্রাথমিক কারণ মূলত চাকমারা। মিজো সংগঠনগুলো প্রায়ই চলে যাওয়ার জন্য চাকমাদের নোটিশ দেয়। এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ