বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা মহানগরের বাইরের ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করা ও নগরের বাইরের ইজিবাইক শহরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়েছে।
মহানগরে ইজিবাইকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও রুট নির্ধারণে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী বুধবার থেকে ইজিবাইক প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে মহানগরের ৮টি প্রবেশদ্বারে কেসিসির কর্মচারী ও পুলিশ যৌথভাবে এ কাজ তদারকি করছে। এজন্য দু’টি শিফটে কেসিসির ৩৯ জন কর্মচারীকে ৮টি চেকপোস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্পটগুলো হলো- গল্লামারি ব্রিজ, ময়ূর নদী ব্রিজ, খানজাহান আলী (র.) সেতু, মোস্তর মোড়, বাস্তুহারা, তেলিগাতী ল্যাবরেটরি মোড়, যোগীপোল মোড় ও বাদামতলা বিআরটিএ অফিস মোড়।
কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার এস কে এম তাছাদুজ্জামান বলেন, আজ থেকে কেসিসির সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। মহানগরীর ৮টি প্রবেশদ্বারে কেসিসির কর্মচারী ও পুলিশ যৌথভাবে এ কাজ তদারকি করছে। এজন্য দু’টি শিফটে কেসিসির ৩৯ জন কর্মচারীকে ৮টি চেকপোস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি চেকপোস্টে ৮-১০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। তিনি জানান, মহানগরের ভিতরের ইজিবাইকগুলোকে কয়েকদিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট রং করে দেওয়া হবে।
এর আগে রোববার থেকে ইজিবাইক মালিক-চালকদের বিষয়টির ব্যাপারে অবগত করার জন্য নগরীতে মাইকিং করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরীর ৮টি প্রবেশদ্বারে কেসিসির কর্মচারী ও পুলিশ যৌথভাবে তদারকি শুরু করায় অনেকটা যানজটমুক্ত হয়েছে নগরী। ট্রাফিক পুলিশের লাঠি নিয়ে তাড়ার দৃশ্যও কমে গেছে। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরেছে নগরবাসীর।
এ সিদ্ধান্ত স্থায়ীভাবে বলবৎ থাকলে পুরাপুরি যানজটমুক্ত নগরী গড়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে নগরের সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত এ যানটি চলাচল শুরু করে। যানটি দ্রুত নগরে ছড়িয়ে পড়ায় যানজট বেড়ে যায়। গাড়ি চালানোয় চালকদের ন্যূনতম দক্ষতা না থাকায় এবং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচলের কারণে পথচারী ও যাত্রীদের প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয়। বিদ্যুতের সাহায্যে ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করার কারণে নগরে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। এ কারণেই বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও পথচারীরা নগরে ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়ে আসছিল।
২০১৬ সালের ১১ মে খুলনার তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর নগর ভবনে সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় খুলনা-২ ও ৩ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কেএমপির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সেই সিদ্ধান্ত বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।