Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কবিরহাটে পিতা-পুত্রের দাফন সম্পন্ন

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের খুটির টানা তারে জড়িয়ে মর্মান্তিক নিহত সালা উদ্দিন (৪৮) ও তার ছেলে সৌরভ হোসেন (১২)কে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি দল।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নিহতদের জানাজার নামাজ করমবক্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্যে অফিস থেকে বের হলেও বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন জমা দেননি বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক শংকর লাল দত্ত।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে ঘটনার পর এজিএম ইঞ্জিনিয়ারিং হেড অফিস মো. ইব্রাহিম, সোনাপুর অফিসের ডিজিএম জহিরুল ইসলাম ও কোম্পানীগঞ্জ অফিসের এজিএম মদন কুমার সাহার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে তারা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে বিদ্যুতের খুটির মূল তারের থেকে টানা তারের দূরত্ব ৪ ইঞ্চি। তার ধরে ঝুঁলার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। তদন্তে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ফলাহারী গ্রামের বজল মাস্টার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সেচপাম্প মেশিনে পানি সেচ দেওয়া শেষে বাড়ি ফেরার আগে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ পায়ের কাঁদা ধোঁয়ার জন্য পাশের একটি পুকুর পাড়ে যায়। এসময় সে পুকুরের পাড়ে পুঁতে রাখা বৈদ্যুতিক খুটির টানা তার ধরে নিচের দিকে ঝুলে পা ধোঁয়ার সময় তারটি বিদ্যুৎ লাইনের উপলে থাকা মূলতারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সৌরভ মারা যায়। এসময় কাছাকাছি থাকা বাবা মো. সালাউদ্দিন ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যান।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, পিতা-পুত্রকে পানির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে বিদ্যুৎ লাইনটি বন্ধ করতে পল্লী বিদ্যুতের কবিরহাট অফিস ও নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক শংকর লাল দত্তকে একাধিকবার ফোন করে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও তারা আসেনি। ফলে আশেপাশের লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসলেও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হওয়ার ভয়ে লাশ উদ্ধারে পুকুরে নামতে পারেনি তারা। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাশ দু’টি পুকুরেই পড়ে ছিল। পরে রাত সোয়া আটটার দিকে মাইজদী থেকে আসা দমকল বাহিনীর সদস্যরা বিদ্যুত অফিসে কথা বলে লাইন বন্ধ করা হয়েছে নিশ্চিত হয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এরপর রাত পৌনে নয়টার দিকে পুলিশ নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কবিরহাট আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিতা-পুত্রের দাফন সম্পন্ন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ