পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা সঙ্কটে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অবস্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা একটি সিরিয়াস ইস্যু। এটি অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। এই বিষয়ে অনেক আলাপ করতে হবে, আলাপ করে সমাধানে পৌঁছাতে হবে। এই সমস্যা সহজেই সমাধান হবে না। মিয়ানমার বাংলাদেশের বন্ধু দেশ। তারা যদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন দেয় তবে এই সমস্যা সহজেই মিটে যাবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের যে কর্মকান্ড সেটা মোটেই সন্তোষজনক নয়। তাদের এ বিষয়ে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চায় বাংলাদেশ। বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও সম্পৃক্ততা আশা করছি আমরা।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের ফলে বৈশ্বি প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত কি কি হুমকি রয়েছে তা বের করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে থাকলে ভারত, থাইল্যান্ড, চীনসহ বিশ্বের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। সবার জন্য অমঙ্গল হবে। সবার স্থিতিশীলতার জন্যই রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি হুমকি।
’চীন-রাশিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, তারাও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। রাজনীতিতে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন আসে। সেটা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন ও আমন্ত্রণ জানালেও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারত দিয়েই প্রথম বিদেশ সফর শুরু করতে চান আব্দুল মোমেন।
প্রথমেই অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেবেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে এবার অর্থনৈতিক কূটনৈতিক কর্মকান্ডে জোর দেয়া হবে। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নেও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে সামনের দিনে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের ভিশন টেকসই লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে আমরা সবার কাছে সহযোগিতা চাই। ২০২১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে যা যা প্রয়োজন উদ্যোগ নেব।
ড. মোমেন বলেন, মহাজোট সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে এবং জীবন সহজ করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।