পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সব উদ্যোগ কেবল মামলা ও জরিমানাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। যেখানে সেখানে বা দাঁড়ানো-থামা, যাত্রী ওঠানামা করানো, যেখানে সেখানে পার্কিং, চলন্ত অবস্থায় বাসের দরজা বন্ধ রাখার বিষয়ে পুলিশের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। একইভাবে যাত্রীদের সচেতনতাও বাড়েনি। পুলিশের সামনেই পথচারিরা ওভারব্রিজ রেখে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হয়। এসব নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরের প্রথম সাত দিনে রাজধানীর সড়কে পুলিশ মামলা করেছে ২৬ হাজার ৫৭১টি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার মামলা করেছে পুলিশ। জরিমানা আদায় করেছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। উল্টো পথে গাড়ি চালানো, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস লাগানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারসহ কাগজপত্র ঠিক না রাখার কারণে এসব মামলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর মধ্যে ঢাকা শহরে গণপরিবহন চলার সময় দরজা বন্ধ রাখা এবং নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা ছিল অন্যতম। বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিআরটিএ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ রাজধানীর শতাধিক স্থানে বাস থামার জায়গা চিহ্নিত করে।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ আজ মঙ্গলবার থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ সময় জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। গতকাল সোমবার সকালে ডিএমপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ ও ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি এবং ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সুবিধা ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব না। তবে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতার ফলে ঢাকা শহরে ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি এখন বেশ চোখে পড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নয়নে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে সেগুলো হলো: ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইড, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং/রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান/স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাস শুরু এবং ছুটির সময়ে উক্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা, হাইড্রোলিক হর্ন, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়া গতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটরসাইকেলের আরোহীদের হেলমেট না পরাসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯ টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সকল সময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ। জেব্রা ক্রসিং এর আগে স্টপ লাইন বরাবর গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাম লেন ঘেঁষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা নিশ্চিত করা। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
পুলিশ জানায়, এর আগে মডেল করিডর হিসেবে ঘোষিত বিমান বন্দর থেকে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরোনো হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশন সমূহে রিমোট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা এবং ফার্মগেট থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করে বলেন, শৃঙ্খলা কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত উন্নত হবে। নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা হবে। তবে এজন্য পথচারিদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।