বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের এক সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিনের এ মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাদের। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে মামলায় তাদের সহায়তা করতে হবে।
মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে গত ৭ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদ। দুদকের অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে এজাহারে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টে গৃহিনী, নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই বলে তথ্য রয়েছে। আফরোজা আব্বাস তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে অসৎ উদ্দেশ্যে দালিলিক প্রমাণবিহীন ভুয়া ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।