পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের দায়ের করা ১৫ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো: মাসুদ রানা।
তিনি আরো বলেন, আদালত ১৩ টিতে জামিন ও স্থগিত এবং ২টিতে শুধু স্থগিত করেছেন। মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সারা দেশে দায়েরকৃত ২২ মামলার মধ্যে ১৯ টিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। আর ৩টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকার এখন তার কারামুক্তি পেতে আইনগত বাধা নেই। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ মাসুদ রানা।
পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা ১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এখনো একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও তিনটি মামলা বিচারের প্রক্রিয়ায় না থাকায় এসব মামলায় তার জামিনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এনে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে বিরুপ মন্তব্য কনে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাসুদা ভাট্টিসহ নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন ওই সাংবাদিক। নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর দাবি করে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতেও মামলা করেন একজন নারী। যদিও ওই দুটি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। এ ছাড়াও একই ঘটনায় জামালপুর, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের আদালতেও পৃথক মামলা হয়। ২২ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরায় থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গত ২৩ অক্টোবর মইনুলকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত বছর ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুরের কারাগারে পাঠানো হয়। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।