Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে নিহত ২৬

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও তুষারঝড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অসংখ্য আহত হন। নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৫জন এবং ইউরোপে ২১ জন। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে তীব্র শীত ও তুষারঝড়ে অন্তত চার জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। মিসৌরি রাজ্যের হাইওয়ে পেট্রোল জানায়, অনেক মানুষ তুষারের কারণে আটকা পড়ে আছে। শনিবার সকালে এক টুইটবার্তায় তারা জানয়, এখন পর্যন্ত ৪৮ জন আহতের খবর পেয়েছেন তারা। ৭২৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ও ১২৫২ জন বিভিন্ন সড়কে আটকা পড়ে আছেন। সাহায্যের আবেদন করেছেন ২ হাজার ৯৬৮ জন। সেন্ট লুইসে রেকর্ড ১০ দশমিক ৪ ইঞ্চি তুষার জমা হয়েছে। মিসৌরির অন্য এলাকাগুলোতে এটি আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কলম্বিয়ায় তুষারের পরিমান ১৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি ও হ্যারিসবার্গে ১৭ ইঞ্চি। সিএনএনের আবহাওয়াবিদ হ্যালি ব্রিংক বলেন, ‘আমরা অনেক শক্তিশালী তুষারঝড়ের শিকার। কানসাস থেকে ১৪০০ মাইল বিস্তৃত হয়ে এটি আঘাত এনেছে। সেন্ট লুইসে গত পাঁচ বছরে এমন আবহাওয়া দেখা যায়নি। এই মুহূর্তে দেশটির সাড়ে ছয় কোটি মানুষ ঝড়ের সতর্কবার্তার আওতায় আছেন। অপরদিকে, ইউরোপজুড়ে চলমান তীব্র শীত ও তুষারচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। বন্ধ রয়েছে স্কি রিসোর্ট ও পাহাড়ি গ্রামগুলো। তুষারে চাপা পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিক যোগাযোগ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নেই স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর অস্ট্রিয়ায় ভ্রমণরত ব্রিটিশ পর্যটকদের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সেখানে একটি পাহাড়ে কয়েকদিন ধরে আটকা পড়েছিলো ৬৬ জন কিশোর। পরে সামরিক হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। সুইজারল্যান্ডে রাস্তা থেকে তুষার সরানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। সেখানে একটি হোটেল ৩০০ মিটার প্রশস্ত তুষারের নিচে চাপা পড়েছে। এছাড়া বুলগেরিয়ায় বৈরী আবহাওয়ায় প্রাণ হারিয়েছে দুইজন। জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বাভারিয়ার গভর্নর জানান, বৈরী আবহাওয়ার শিকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই তারা রাস্তা থেকে তুষার সরাচ্ছেন। সার্বিয়ার কয়েকটি শহরে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ইন্ডিপেন্ডেন্ট, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ