Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চান জুলিয়ান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো প্রায় দুই বছর বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে প্রাথমিক প্রস্তুতি। রিপাবলিকান দল থেকে আবার নির্বাচন করতে চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু তার সামনে বড় এক লড়াই গড়ে তুলতে ডেমোক্রেট থেকে সামনে চলে এসেছেন একঝাঁক মুখ। তাদের কেউ কেউ এরই মধ্যে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন প্রার্থিতা। কেউবা প্রাথমিক পর্যায়ের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ মনের ভিতর লুকিয়ে রেখেছেন। এমন এক ডজনের বেশি প্রার্থীর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এরই মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তুলসি গাব্বার নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রথম হিস্পানিক হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঘনিষ্ঠ ৪৪ বছর বয়সী জুলিয়ান ক্যাস্ত্রো। তিনি বলেছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে একজন প্রার্থী। সান অ্যান্টোনিওর গুয়াডালুপে প্লাজায় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। জুলিয়ান ক্যাস্ট্রোম টেক্সাসের সান অ্যান্টনিওর সাবেক মেয়র এবং ওবামার সময়ের মন্ত্রীপরিষদে একজন সদস্য। শনিবার তিনি প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যখন অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক, দেয়াল নির্মাণ নিয়ে কঠিন অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন তখন প্রথম হিস্প্যানিক হিসেবে তিনি এই ঘোষণা দিলেন। তিনি আশা ও বহুত্ববাদের গুরুত্ব সামনে তুলে ধরেছেন। তার পরিবার মেক্সিকো থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। তিনি বক্তব্য দেয়ার সময় ঘন ঘন অভিবাসন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাকে ডেমোক্রেট দলে ডাকা হয় একজন উদীয়মান তারকা বা রাইজিং স্টার হিসেবে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে তিনি গৃহায়ণ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন এবং একই সঙ্গে ওবামার মন্ত্রীপরিষদে তিনি ছিলেন বয়সে সবচেয়ে ছোট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে তখন ক্যাস্ত্রো অনেকটা উদার হবেন বলে ভাবা হয়। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অর্থ দাবি করছেন কংগ্রেসের কাছে। কিন্তু ডেমোক্রেটরা সেই অর্থ ছাড় দিতে নারাজ। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ডেমোক্রেটরা যখন এমন অবস্থান নিয়েছে তখন ভিন্ন বার্তা দিয়েছেন ক্যাস্ত্রো। তিনি বলেছেন, সান অ্যান্টোনিও শহরে বসবাসকারীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হলেন হিস্পানিক। তারাই যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত: বৈচিত্র, দ্রুত বর্ধনশীল ও আশাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমাদের অবশ্যই সীমান্ত নিরাপত্তা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে তা হতে হবে স্মার্ট ও মানবিক উপায়ে। (সীমান্ত পেরিয়ে আসা) বাচ্চাদেরকে খাঁচায় ভরে আমাদের নিরাপদ থাকার কোনো পথ নেই। সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে আমরা না বলি। তবে বলি আসুন সম্প্রদায়কে গড়ে তুলি। তার এ বক্তব্যের পর উল্লসিত জনতার মধ্যে হর্ষধ্বনি পড়ে যায়। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ