পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের একের পর এক উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখলেও ক্রমেই গতিহীন হয়ে পড়ছে মহাসড়ক। যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা আর মহাসড়কের জায়গা দখল করে ব্যবহারের ফলে দেশের প্রায় সব মহাসড়কেই লেগে থাকছে যানজট। বিশেষ করে রাজধানী থেকে বের হতে এবং প্রবেশের সব সড়ক এখন সাধারণ যাত্রীদের জন্য দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। শত কিলোমিটার দূরত্বের মহাসড়কের মোট যাত্রাসময়ের অর্ধেকই কেটে যাচ্ছে ঢাকা থেকে বের হতে বা প্রবেশ করতে। মহাসড়ক ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, দিনে দিনে এ সমস্যা বাড়ছেই। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনাই এই সমস্যার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন তারা। অবশ্য মহাসড়কের যানবাহন বৃদ্ধিকেও এর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।
দেশের প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কিলোমিটার মহাসড়কে কমবেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। রীতিমতো দখলের মহোৎসব চলছে মহাসড়কের দু’পাশজুড়ে। নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের কাঠামো। তবে অস্থায়ী স্থাপনাই বেশি। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারাই এই দখলবাজির সঙ্গে যুক্ত। দিন দিন দখলের মাত্রা বাড়লেও অবৈধ স্থাপনার কোন তালিকা নেই সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বা মহাসড়ক বিভাগের হাতে। এছাড়া অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির বিধান নেই আইনে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী এমনকি ম্যাজিস্ট্রেটও নেই সড়ক বিভাগের অধীনে।
সংশ্লিষ্টরা জানা, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল-রংপুর মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সড়ক দুর্ঘটনা, যানজটসহ যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার অন্যতম কারণ অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু বারবার নোটিস দেয়া হলেও কর্ণপাত করেন না দখলদাররা। ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছরে মাত্র দুই বার ঈদের আগে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। ঈদ শেষে আবার আগের অবস্থা ফিরে আসে।
এবার সারা বছর যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রায় চার লেন প্রশস্তকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালের মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
মহাসড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনায় সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনার সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছি, সাত দিনের নোটিশে মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দখলমুক্ত করতে হবে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এখনই মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে হবে। পরে নানা রাজনৈতিক চাপ আসে, চাপের মুখে কাজ করা যায় না।
দীর্ঘ যানজটের কারণে দেশের মহাসড়কগুলোর উন্নয়নের সুফল পুরোটা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাত্রীদের অভিযোগ, দূরপাল্লার যাত্রায় ২৫০ কিলোমিটার রাস্তার ২০০ কিলোমিটার যেতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা। কিন্তু ঢাকার আশপাশের ৫০ কিলোমিটার যেতে অনেক সময় একই পরিমাণ সময় লাগে। গত চারদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০ থেকে একশ’ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা থেকে বের হতে মেঘনা ও গোমতী সেতুর মুখে সৃষ্টি হয়েছে এ যানজট।
বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী প্রতিটি সড়কের মূল রাস্তার অন্তত ৩০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না। আমাদের দেশে সরকারি বিধানেও তা উল্লেখ রয়েছে। তবে এটা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। রাস্তা নির্মাণের পর সংরক্ষিত ভূমি সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি গত ৪৪ বছরেও। আধুনিক ফোর লেন মহাসড়ক নির্মাণ হলেও সীমানা নির্ধারণ বা রাস্তা থেকে স্থাপনা করার দূরত্ব চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে বারবার রাস্তার দু’পাশ দখলের সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার আশপাশের মহাসড়কের দু’পাশে শিল্পকারখানা, দোকানপাট গড়ে ওঠা, রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং, মানুষের চলাচল, ছোট বড় গাড়ির অবাধ চলাচল, বিভিন্ন জায়গায় সংযোগ সড়কসহ ঘন ঘন বাস স্টপেজের কারণে মহাসড়কে ধীর গতি ও যানজটে পড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনকে। এসব কারণে মেজাজ হারাচ্ছে মহাসড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হওয়ার আগেও এমন অবস্থা ছিল না। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনার কারণেই দিন যতো যাচ্ছে যানজট ততো বাড়ছে।
অন্যদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রচুর গার্মেন্ট কারখানা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শিল্প কারখানা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী থেকে শুরু করে সাভার, নবীনগর, মানিকগঞ্জ পুরো এলাকায় আবাসিক এলাকা, দোকান, মার্কেট, শিল্পকারখানা, গ্যারেজ, সিএনজি স্টেশন, করপোরেট অফিস, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এসব এলাকায় গাড়ি চলাচলের সময় ধীর গতিতে চলতে হয়। রাস্তার দৈর্ঘ্যও খুব বেশি নয়। কোথাও একটি গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হলে পুরো রাস্তা অচল হয়ে যায় অনেক সময়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এলজিইডির হাতে দেশের সড়ক ও জনপথসহ বেশিরভাগ সড়ক ও মহাসড়ক থাকলেও তাদের অধীনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ নেই। নিজস্ব কোনো বাহিনী না থাকায় অনেক সময় চাইলেই পুলিশ পাওয়া যায় না। এ জন্য মহাসড়ক দখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে এটি বিরাট প্রতিবন্ধকতা। এর বাইরে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কারণেও মহাসড়ক দখলমুক্ত করা যায় না বলে জানান সড়ক বিভাগের ওই কর্মকর্তা। তবে এবার সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশে আশানুরুপ ফল পাওয়া যাবে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকার চাইলে সবকিছুই সম্ভব। এবার মহাসড়ক দখলমুক্ত হতে বেশিদিন লাগবে না।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি চলে থেমে থেমে
মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিশেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কোথাও কোথাও মহাসড়ক ঘেষে হাট-বাজার রয়েছে। কোথাও-বা মহাসড়কের উভয়পার্শ্বে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও বাজারের স্থায়ী কাঠামো। এমনকি মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার অংশে প্রায় সব কয়টির যাত্রী-ছাউনীগুলোও ব্যবসাস্থলে পরিণত হয়েছে। এসব যাত্রী-ছাউনীগুলোতে যাত্রী বসার কোন স্থান নেই। এগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীমহল দখল করে টাকার বিনিময়ে দোকান ঘর তৈরী করে ব্যবসা করার কারনে যাত্রীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ীতে ওঠা নামা করে। এতে অনেক সময় যানজট, জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা ঘটে। এসব নিয়ে ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। তাদের ক্ষোভ সবসময় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের প্রতি।
সরজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকার যাত্রীছাউনিটি অবৈধভাবে চা ও কনফেকশনারী দোকান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তিন ব্যক্তি। যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যবসা করা সম্পর্কে জানতে চাইলে দোকানদারা কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকার জামশেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে যাত্রীছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারছি না। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত নিমসার এলাকায় দেখা যায়, পাইকারি ক্রেতাদের সবজি তোলা হচ্ছে ট্রাকে। আবার কেউ কেউ তুলছেন পিকআপ ভ্যানে। মহাসড়কে এলোপাথারী করে গাড়ী রেখে মালামাল তোলার কারণে যানজট লেগেই থাকছে। নিমসার ছাড়াও মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার, চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুর এবং দাউদকান্দিতে মহাসড়কে পাশে অবৈধ স্থাপনার কারনে যানজট লেগেই থাকে।
হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন ফাঁড়িতে কর্তব্যরত সদস্যরা জানান, সবজি বোঝাই ট্রাক নিয়ে মহাসড়কে উঠতে গিয়ে দু’এক মিনিটের জন্য রাস্তা বন্ধ হলেই বাস ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ শত শত গাড়ি রং সাইডে (উল্টোপথ) দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে দু’দিক থেকেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যা যানজট পরিস্থিতিকে বেসামাল করে তোলে। এছাড়াও অবৈধ স্থাপনার কারনে দুর্ঘটনাকবলিত বা আটকেপড়া গাড়ি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে রেকার দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। রাস্তার উপর রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, লরি কভার্ডভ্যান পার্কিং করা থাকে। এতে দ্রুতগামী গাড়িগুলো আটকা পড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিন অবস্থান করে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
হাইত্তয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক খুবই ব্যস্ত। এখানে দু’এক মিনিট সড়ক বন্ধ থাকলেই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কোনো দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই যানজট পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা
আমাদের কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার বিাভন্ন এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এই সব দোকান-পাট মহাসড়ক দখল করে, দিন রাত বেচাকেনা করে যাচ্ছে দোকানদাররা। প্রশাসন যা দেখেও না দেখার ভান করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহাসড়কে দুই পাশে বোড ঘর, কালিয়াকৈর বাইপাস, চন্দ্রা ত্রিমোড়, পল্লী বিদ্যুৎ, সফিপুর বাজার, মৌচাক বাস স্ট্যান্ড, কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, নাওজোর এলাকায় রাস্তার দুুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, মাঝে মাঝে দেখা যায়, মন্ত্রীর নির্দেশে সওজ এর কর্মকর্তা ও প্রশাসনের লোকজন এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে। আবার দুই-এক দিন পরে রাস্তার পাশে দোকানপাট গড়ে ওঠে।
অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রতিদিন তিব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে হাজার হাজার যাত্রী প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের টঙ্গী এলাকার বেশিরভাগ স্থানেই রয়েছে অবৈধ স্থাপনা। মাঝে ধ্যে সেগুলো উচ্ছেদ করা হলেও আবার তা গড়ে ওঠে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে, টঙ্গী স্টেশন রোড, মধূমিতা, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা। এসব এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে টং দোকান, চা স্টল, খাবার হোটেল, কাপড়ের দোকান, কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান।
ভুক্তভোগিরা মনে করছেন, মন্ত্রীর নির্দেশে এবার মহাসড়ক অবৈধ দখলদারমুক্ত হবে। তাতে যানজটের ভোগান্তি অরেকটাই কমবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।