নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোটের সঙ্গে লড়াইটা চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। শেষবার তো যেতে হয়েছিল অপারেশন টেবিলে ছুরি-কাঁচির নিচে। নিজেও বুঝতে পারছেন ক্যারিয়ারটা আর দীর্ঘায়িত করা সম্ভব না। ৩১ বছর বয়সেই তাই বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দিলেন স্কটিশ সাবেক নাম্বার ওয়ান ও তিনটি গ্র্যান্ড ¯ø্যামের মালিক অ্যান্ডি মারে।
না, এখনই বিদায় নিচ্ছেন না মারে। আগামী পরশু থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলবেন। অবসরে যাবেন বছরের তৃতীয় ও ইতিহাসের সবচেয়ে পুরোনো গ্র্যান্ড ¯ø্যামের আসর উইম্বলডনের পর। তবে শারীরের যে অবস্থা তাতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরেও অবসরে গেলে বিষ্ময়ের হবে না। শুক্রবার মেলবোর্নে আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন মারে, ‘আমি নিশ্চিত নই ব্যথা নিয়ে আরো চার কিংবা পাঁচ মাস খেলতে পারব কি না।’ তবে ইচ্ছা আছে ঘরের মাঠের উইম্বলডন খেলার, ‘আমি উইম্বলডন পর্যন্ত গিয়ে থামতে চাই তবে আমি নিশ্চিত নই তা সম্ভব হবে কিনা।’
যাইহোক, আপাতত মেলবোর্ন পার্কের প্রথম রাউন্ড লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছেন। তবে শুরুতেই তাকে পড়তে হচ্ছে স্প্যানিশ ২২ নম্বর বাছাই রবার্তো বাতিস্তা অগাতের সামনে। কিছুদিন আগে দুবাই ওপেন জয়ের পথে যিনি হারিয়ে দেন নাম্বার ওয়ান নোভাক জোকোভিচকে।
গত জানুয়ারিতে কোমরের ইনজুরির জন্য অপারেশন টেবিলে যেতে হয়েছিল মারেকে। জুনে চোট কাটিয়ে ফেরার পর ১৪টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। শেষ ম্যাচ খেলেছেন গত সেপ্টেম্বরে। এখনো যে তিনি পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তা বোঝা গেছে মেলবোর্ন পার্কে বৃহস্পতিবার জোকোভিচের সঙ্গে প্রাকটিস ম্যাচে। সংবাদ সম্মেলনেও তা স্পষ্ট করেন মারে, ‘আমি ভালো অনুভব করছি না। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। গত ২০ মাস ধরে প্রচন্ড ব্যথার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।’ ‘ছয় মাস আগেও বর্তমানের চেয়ে ভালো ছিলাম কিন্তু এখন অনেক বেশি ব্যথা। এই ব্যথা নিয়ে আমি খেলা চালিয়ে যেতে পারব কিন্তু সেটা আমার পর্যায়ের সঙ্গে ঠিক যাবে না।’
দুইবারের অলিম্পিকজয়ী তারকা বলেন, ‘আমি উইম্বলডন পর্যন্ত খেলতে চাই- সেখান থেকে আমার থামার ইচ্ছা- তবে আমি নিশ্চিত নই সেই পর্যন্ত যেতে সমর্থ হব কিনা।’
২০০৫ সালে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করা বৃটেনের সর্বকালের সেরা টেনিস তারকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে খেলেছেন মোট ৫বার। কিন্তু কোনবারই শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল থেকেও একবার ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। তবে দু’বার জিতেছেন উইম্বলডন (২০১৩, ২০১৬) একবার ইউএস ওপেন (২০১২)। রজার ফেদেরার, নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদালদের যুগে এই অর্জনই বা কম কিসে। ২০১৬ উইম্বলডন ও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অলিম্পিক স্বর্ণ জয়ের বছরে ওঠেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। পরের বছর থেকে শুরু হয় তার ইনজুরির সঙ্গে লড়াই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।