পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মামলার নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। একই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার জন্য বিষয়টিকে ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। নথি গায়েবের মতো ভয়াবহ দুর্নীতি প্রতিরোধে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ও বেঞ্চের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। একটি মামলা শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার এই অভিমত দেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির বিরুদ্ধে বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চাঁদাবাজি, অর্থপাচারসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়। পরে সেগুলো স্থগিত করে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে বিভিন্ন সময়ে মামলার নথি গায়েবের বিষয়টি। বিচার ব্যবস্থার জন্য এরকম কার্যক্রম ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেন আদালত। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমল হোসেন কিউসি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ আলম খান ইনকিলাবকে বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির মামলা শুনানিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা হয়। এসময় আদালত বলেন, দুর্নীতি প্রতিরাধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসময় মামলার নথি নিয়ে কথা উঠে। অনেক সময় ঠিক সময়ে নথি আসছে না, নথি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। হাইকোর্টের বিভিন্ন সেকশন থেকে আইনজীবীরা যেন কোনো প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই প্রয়োজনীয় নথি খুঁজে পায় সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্ট বারকে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। খুরশিদ আলম খান বলেন, আদালত মতামত দিয়েছিলেন, বার যদি যথাযথ পদক্ষেপ নেয় এবং প্রধান বিচারপতির সাথে যদি ঘনঘন বসে তাহলে এর সুরাহা করা সহজ হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, অনেক সময় নথি আদালতে পাওয়া যায় না। আবার কিছু টাকাপয়সা খরচ করলে সেটি পাওয়া যায়। এটা রোধ হওয়া দরকার। আমরা সে মর্মে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। কমিটি এ বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ জানিয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে বিষয়টি কিছুটা লাঘব হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।