রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চলতি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি সেচ প্রকল্পটির কমান্ড এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সেচ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হবে। এবার নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ জন্য সকল প্রস্ততি গ্রহন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সেচ নির্ভর বোরো আবাদে তিস্তার পানির ব্যাপক চাহিদা। আর অন্যদিকে উজানের পানি প্রবাহের উপর উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকের ভাগ্য সেচের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে উজানের জোয়ারে তিস্তা পানি প্রবাহ রয়েছে পাঁচ হাজার কিউসেক।
সুত্রমতে, গত এক পক্ষকাল হতে নদীতে পানির গড় হিসাব ছিল দেড় হাজার কিউসেক। ৬ জানুয়ারি হতে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার কিউসেকে।
তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, চলতি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে তিস্তা ব্যারেজ থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সেচ প্রদান শুরু করা হবে। সেচ প্রদান কমান্ড এলাকা তৈরী রয়েছে ৭৯ হাজার হেক্টর। উজানের পানি প্রাপ্তিতার উপর নির্ভর করবে আমরা কতখানী এলাকায় সেচ দিতে পারি।
তিনি বলেন এরপরেও চলতি মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা ৫ হাজার হেক্টর, জলঢাকা উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর ও নীলফামারী জেলা সদরে ৭ হাজার হেক্টর, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর, সৈয়দপুর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর, রংপুর জেলার গঙ্গাচরা উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর ও দিনাজপুর জেলার খানসামা এবং চিরিরবন্দর উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে নদীতে উজানের পানির যে জোয়ার রয়েছে এই জোয়ার অব্যাহত থাকলে আমরা ৫০ হাজার হেক্টর জমি পর্যন্ত সেচ দিতে সক্ষম হবো। পানির জোয়ার আরো বৃদ্ধি পেলে কমান্ড এলাকার ৭৯ হাজার হেক্টর জমি সেচ পেয়েও যেতে পারে।
সুত্র মতে তিস্তায় যখন পূর্ণমাত্রায় পানি আসত তখন শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৬৫-৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হতো। সাধারণভাবে ধান চাষ করলে যে ব্যয় হয়, সেচ প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে সেই ধান চাষ করলে ব্যয় হয় ২০ ভাগের ১ ভাগ। এ ছাড়া ধানের ফলনও হয় বাম্পার। বৃহত্তর রংপুরের মঙ্গা দূরীকরণে তিস্তা সেচ প্রকল্পে অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। উত্তরের জীবনের জন্য তিন্তার পানির কোনো বিকল্প নেই।
বিগত বছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪ সালে সেচ নির্ভর রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় ৬৫ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, কিন্তু সেখানে তিস্তা নদীর পানি অভাবে সেচ প্রদান সম্ভব হয়েছিল মাত্র ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০১৫ সালে ৩৭ হাজার ৫শত হেক্টর জমি সেচের আওতা থেকে কমিয়ে আনা হয়েছিল ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। কিন্তু পানি কম থাকার কারণে সেচ সরররাহ করা হয়েছে ৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। যেহেতু এখনও তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি সে ক্ষেত্রে গত বছরের ন্যায় চলতি বছরেও চাহিদা মতো তিস্তা নদীর পানির প্রাপ্তিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় ।
সেচ সুবিধার কমান্ড এলাকা জলঢাকা উপজেলার দেশীবাই গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম জানান এবার সেচ ক্যানেলগুলোতে পানি আছে। কিন্তু ভরা সেচ মৌসুমে পানি আদৌ থাকবে কিনা এমন আশংঙ্কাও করছেন এই কৃষক।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল মামুন জানান, তিস্তায় এবার উজানের জোয়ার ভালই রয়েছে। এই জোয়ার অব্যাহত থাকলে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বেশী জমিতে সেচ দিতে পারবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।