Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দোহারে গৃহবধূ মনি হত্যার বিচার চেয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

দোহার-নবাবগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৫৯ পিএম

ঢাকার দোহারে গৃহবধূ মনি হত্যার আসামি গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মনি হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি মনি বেগমের স্বামী মামেদ আলীকে পুলিশ আটক না করায় এ মানববন্ধন করেন গৃহবধু মনি বেগমের স্বজনরা। শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলার মুকসুদপুর ই্উনিয়নের পল্লী বাজারে মানববন্ধন আয়োজন করে নিহত মনি বেগমের স্বজনেরা।
গত ৮ ডিসেম্বর ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় মনি বেগমের ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। সেসসয় তার ননদের জামাই হাসমত আলী পরিবারের সবাইকে ডেকে নিয়ে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে মনির স্বামী মামেদ আলী হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
মনি’র শশুর বাড়ীর লোকজন এটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে নিতে চাইলে মনি’র পিতা মাতা এটিকে হত্যাকান্ড বলে দাবী করে মনি’র স্বামী মামেদ আলীসহ ৩জনকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। রহস্যজনক এ হত্যাকান্ডে সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
মানববন্ধনে মনি বেগমের মা রীনা বেগমের জানান, গত ৮ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আমরা মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁসি দেওয়া অবস্থায় পাই। আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে খবর দেয় আমাকে আপনার মেয়ের কি যেন হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঐ বাড়িতে গেলে দেখি আমার মেয়েকে ঘরে তলাবদ্ধ করে রেখেছে। তালা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে গলায় ওড়ঁনা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। তবে পা দুটো বাঁকা হয়েছিল উচ্চতা এতই কম ছিল যে সেখানে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব ছিলনা। আমাদের ধারণা মনির স্বামী মামেদ আলী আমার মেয়েকে হত্যাকরে ঝুলিয়ে রেখেছিল এবং বাহির থেকে তালাবন্ধ করে রেখেছিল।
নিহত মনির পিতা আমীর আলী বলেন, আমার মেয়ের দুটি সন্তান রয়েছে। একটি ৮ বছরের মেয়ে তাসলিমা ও একটি ৪ বছরের ছেলে সোলায়মান। আমরা আমার মেয়ে মনি হত্যাকারী আসামিদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।
নিহত মনি বেগমের কন্যা তাসলিমা (৮) তার মা মনি বেগমের রহস্যময় মৃত্যুর বিচারের দাবি করেন।
এ ছাড়া স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনির স্বামীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অনেকবার এলাকা ভিত্তিক সালিসের মাধ্যমে মিলমিশ করানোও হয়েছিল। এর আগেও মনির স্বামী মামেদ আলী চারটি বিবাহ করেছিল বলে জানা যায়।

 

দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানববন্ধন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ