পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নদ-নদীবহুল দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের জীবনের ভাঙা গড়ার খেলা চলছে প্রকৃতির সাথে। নদীতেই তাদের জীবন। আবার নদীই করছে সর্বশান্ত। নদী ভাঙনে ‘সকাল বেলার আমীর ফকির সন্ধা বেলা’। মেঘনা, তেঁতুলিয়া, বলেশ্বর, সুগন্ধা, সন্ধ্যা, বিষখালী ও পায়রাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে একের পর এক জনপদ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসমূহ বিলীন হচ্ছে। কিন্তু ভাঙন রোধে গৃহীত প্রকল্পগুলো অনুমোদনে ধীরগতির পাশাপাশি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আবদ্ধ।
জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলে ভাঙন রোধসহ নদী শাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ইতোপূর্বে ৩১টি প্রকল্প পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হলেও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে কিছু প্রকল্প যাচাই-বাছাই কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো পুনর্গঠন পর্যায়ে রয়েছে। কিছু প্রকল্প-প্রস্তাবনা ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট’ এ তহবিলের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আবার কিছু প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ অধিকতর যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রকল্প কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির বিবেচনাধীন বলেও জানা গেছে। আবার কিছু প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের প্রি-একনেক’এর বিবেচনায়। কিছু প্রকল্প-প্রস্তাবনা বিবেচনা না করেই ফেরত দেয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে। অনুমোদিত অনেক প্রকল্পের অগ্রগতিই খুব একটা আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে নেই। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে পাঁচ সহস্রাধিক কোটি টাকা।
এদিকে, নতুন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখ শামিম দায়িত্ব গ্রহণের আগেই দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদী ভাঙন রোধে সম্ভব সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। আজ (বৃহস্পতিবার) তিনি সচিবালয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ জোনের প্রধান প্রকৌশলীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়েছেন। প্রকৌশলীরা মন্ত্রীকে নদী ভাঙন পরিস্থিতিসহ গৃহীত প্রকল্পসমুহ ছাড়াও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো সম্পর্কে অবহিত করবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের দোয়ারিকাতে ‘বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু’র সংযোগ সড়ক রক্ষায় প্রায় ৮ বছর আগে ১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন না হওয়ায় এখন ভাঙন রোধে প্রয়োজন হবে প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা। এসংক্রান্ত একটি প্রকল্প-প্রস্তাবনা এখন পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে বরিশাল ও ভোলা জেলার বিভিন্নস্থানে ৮টি নদী শাসন প্রকল্প একনেক-এর অনুমোদন লাভ করায় কয়েকটির কাজ শুরু হয়েছে। আবার কয়েকটি প্রকল্প ‘উন্মুক্ত দরপত্র’র পরিবর্তে ‘সীমিত ক্রয় প্রক্রিয়া’য় সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ফলে কালক্ষেপনসহ কাজ শুরু নিয়েও জটিলতা বাড়ছে। ২০১৭-এর চরবাড়ীয়া এলাকার কির্তনখোলার ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প একনেক-এর অনুমোদন লাভ করলেও তার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি এখনো। সরকারি নির্দেশনার আলোকে প্রকল্পটি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু প্রকল্পটির বাস্তবায়ন পূর্ব প্রক্রিয়া সম্পাদনেই প্রায় ১৪ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে ব্যাংক জামানত প্রদান করেছে। চলতি মাসেই প্রতিষ্ঠানটির সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদন শেষে আগামী মাসে কাজ শুরু করা সম্ভব হতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন উপজেলা ও চরফ্যাশন পৌর শহরকে ভাঙন থেকে রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প এখন বাস্তবায়নাধীন। তবে, বরিশাল নদী বন্দরের অপর পাড়ে চরকাউয়া ফেরি ঘাট সহ উজান-ভাটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকা গত ২৫ বছরে কীর্তনখোলা নদীগর্ভে বিলীন হলেও অর্থের অভাবে যথাযথ ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।