পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত বৃহ্ৎ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ ও অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক ও খতিব, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ গত ৪ জানুয়ারি জুমার খুতবায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যবস্থায় মুসলমানদের অবস্থা বিষয়ে বক্তৃতা করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বক্তব্যের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেন, মানুষকে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। মানুষের সকল প্রকার মহব্বত ও শত্রুতা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের হিসাব করে কাউকে বন্ধু বা শত্রু বানানো ইসলামের বিধান নয়। প্রতিটি মানুষই সত্য ধর্মের উপর জন্ম গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ভালো মানুষের সাহচার্য্য তাকে উত্তম মানুষে রূপান্তরিত করে আর খারাপ মানুষের সঙ্গ তাকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়। পৃথিবীজুড়ে এখন চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই নীতিতে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। একদিকে মজলুম অপরদিকে জালিম। জালিমরা ক্ষমতার মাধ্যমে ভোগবাদ ও বস্তুবাদকে স্থায়ী করার মিশন হাতে নিয়েছে। দেশে দেশে এক জালিম অপর জালিমের সহযোগি হচ্ছে। বিবেকহীনভাবে জুলুমকে সমর্থন জানাচ্ছে। এই অস্থিরতা মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। ইয়েমেন, সিরিয়ার মুসলমানরা সীমাহীন নির্যাতিত হচ্ছে। ইজ্জত, আব্র“ হরণ করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা যুগের পর যুগ ধরে দোযখের আগুনে পুড়ছে। বার্মার মুসলমানরা আজ গৃহহীন, দেশহীন। এই দূরাবস্থায়ও মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধানরা নিরব ভূমিকা পালন করছে। পৃথিবীব্যাপী এক নতুন আইয়্যামে জাহেলিয়াত কায়েম করা হয়েছে।
একজন মুমিনের কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। রাসূলের জীবনাদর্শকে বুকে ধারণ করে চলতে হবে। দুনিয়াবি ক্ষমতার মোহ যেন আমাদের পরকালকে বরবাদ করে না দেয় তা খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের উত্তরসুরীরা আমাদেরকে যে ঈমানের উপর, জেহাদের উপর রেখে গেছেন আমরা যেন তা থেকে বিচ্যুত না হই। ব্যক্তিজীবনে ইসলামি তাহযিব তামাদ্দুনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আল্লাহর খলিফা হিসেবে জীবন পরিচালনা করতে হবে। কোন ক্ষেত্রে লোভের বশবর্তী হয়ে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে আপস করা যাবে না। নিজের স্বকীয়তাকে বিকিয়ে দেওয়া যাবে না। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জীবনের প্রতিটি মনজিল পার করতে হবে। রাসূলের জীবনাদর্শকে ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কারো প্রতি রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। ঈমানী শক্তিতে সর্বাবস্থায় বলিয়ান হয়ে সকল প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ইসলাম বিরোধী শক্তি বিভিন্ন প্রলোভনে মুসলমানদের ঈমানী তেজ ও কুওয়তকে দূর্বল করে দেওয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত। এ ফাঁদে পা দিলে মারাত্মক মাশুল দিতে হবে। সংখ্যায় কম হলেও ঈমানদের এক থাকতে হবে এবং সাধ্যমত জালিমের জুলুমের প্রতিবাদ করতে হবে। আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি, রাসূলের রিসালতের ঈমান ঠিক রেখে জীবন পার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।