পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ডাকসু নির্বাচনে আর কোনও বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকায় ডাকসু নির্বাচন হলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন যুক্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই আবেদনটি করে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদালত হাইকোর্টের রায়ে চেম্বার বিচারপতির দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রেখেছেন
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি আদালত তার এক আদেশে ৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দিতে নির্দেশ দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালতে আপিল আবেদন জানায় ঢাবি প্রশাসন। পরে চেম্বার আদালত ডাকসু নির্বাচন দিতে বলা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর তিনি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানালে সে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনও জবাব না দেয়ায় ওই একই বছর ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।
রিটে বিবাদী করা হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বিধান অনুযায়ী, প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রায় ২২ বছর আগে ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের এই ব্যর্থতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।