Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কারাগারে যেতেই হলো

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এ মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। ২০১৭ সালে হাইকোর্ট তার সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দেন। গতবছর ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করে সুপ্রিমকোর্ট। সেখানে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। দুদকের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নাজমুল হুদাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন। বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সরকারের দুই বারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে বিএনএফ গঠন করেন। ওই দলের কর্তৃত্ব হারানোর পর তিনি গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়ে ঢাকা-১৭ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচন করে হেরে যান।
২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা। ২০০৭ সালের ২৭ অগাস্ট বিশেষ জজ আদালতে এই মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদন্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের দন্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে উভয় আবেদনের শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। পরে মামলাটির পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায়ে নাজমুল হুদার সাত বছরের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ের পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি সে আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ