ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের সতাদিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার এবং গাইবান্ধায় ডোবা থেকে অটোরিকসা চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের সাতদিন পর গতকাল রোববার আব্দুর রহমান নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুপুর প্রায় ১২টার দিকে সদর উপজেলার মজলিশপুরের তিতাস নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহমান মজলিশপুর গ্রামের রসুন আলী মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়ি থেকে বের হবার পর নিখোঁজ ছিলেন আব্দুর রহমান। রোববার সকালে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা সদর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুর রহমান মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং প্রায়ই তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে উধাও হয়ে যেতেন বলে জানিয়েছে তার পরিবারের লোকজন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে থানা পুলিশ সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোফাজ্জলের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে। গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন মহিমাগঞ্জ-সোনাতলা রোডে জীবনগাড়ী ব্রীজের পাশে একটি ডোবায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ আমতলী গ্রামের আলতাফ আলী প্রামানিকের পুত্র সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের সিএনজি অটোরিক্সা কয়েকজন অপরিচিত লোক কৌশলে ভাড়া নেয়। গতকাল রোববার ভোরে মোফাজ্জলের লাশ জীবনগাড়ী ব্রীজের পাশে একটি ডোবা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ধারণা করছে উল্লেখিত স্থানে মোফাজ্জলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার সিএনজি অটোরিক্সাটি নিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।