বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শীত আসলেই আবহমান কাল থেকে গ্রাম-বাংলার প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে ডাউলের বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পরে গ্রামীণ নারীরা। অনান্য অঞ্চলের ন্যয় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীরা শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডাউলের বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীরা শীত মৌসুমে এ সু-স্বাদু ডাউলের বড়ি তৈরি করে থাকে। মাশকলাই পানিতে ভিজিয়ে নরম করে চট বা চটজাতীয় কাপরে ঘোষে খোসা আলাদা করা হয়। এর পরে খোসা ছাড়া ডাউল পাটায় বেটে বতি(পাকা) চাল কুমড়া কেটে বিচি বের করে ভিতরে অংশ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিহি করে। এরপরে তা কাপরে মুড়িয়ে চিপে পানি বের করে ফেলা হয় পানি বের হয়ে গেলে পানি নিংড়ানো চাল কুমরার অংশ পাটায় পিশে মিহি করা ডাউল মিশিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দেয়।
বাড়ির আঙ্গিনায়, ঘরের চালে বা রোদ্রুযুক্ত স্থানে সারিবদ্ধভাবে শুকাতে দিতে দেখা যায়। ডাউলের বড়ি দেওয়া তরকারি সুস্বাদু হওয়ায় বহু মানুষ এই বড়ি পছন্দ করে থাকেন। উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বড়ি প্রস্তুতকারক সবিতা রাণী দাস জানান, এই বড়ি তৈরিতে বতি(পাকা) চাল কুমড়া আর মাশকলাইয়ের ডাল লাগে। মাশকলাইয়ের ডাল ছাড়াও অন্য ডালে তৈরি করা যাই এই বড়ি।
তবে মাশকলাই দিয়ে তৈরী বড়ি বেশী সু-স্বাদু হয়। রোদে মচমচে করে শুকালেই এর ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। বড়ি ভালোভাবে শুকাতে ৩/৪ দিন লাগে। এরপর এটা নিরামিশসহ বিভিন্ন ধরনের তরকারির মধ্যে দিয়ে রান্না করে খেতে মজা হয়। তরকারিতে এই বড়ি দেওয়ায় তরকারির স্বাদ অনেকগুন বৃদ্ধি ও মজার হয়। যার ফলে এই বড়ির তরকারি অনেকের কাছে প্রিয়। ডাউলের বড়ি অনেকেই তৈরী করে না তারা কিনে নেয়। অনেকেই নিজেদের তৈরী এই বড়ি আত্বীয়-স্বজনদের বাড়িতে পাঠায়।
এই বড়ির চাহিদা থাকায় অনেকেই তৈরী করে বিক্রয় করে। উপজেলায় এই ডাউলের বড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ নারীরা ডাউলের বড়ি বাজারে বিক্রয়ের জন্য তৈরী করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।