পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর চকবাজারে দায়িত্বরত দু’জন ট্রাফিক সার্জেন্টকে লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। গতকাল (রোববার) চকবাজার অলি খাঁ মসজিদ মোড়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র তল্লাশির সময় এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছনার শিকার দুই ট্রাফিক সার্জেন্ট হলেন, আরিফ হোসেন ও মোঃ সাইফুদ্দিন। তবে চকবাজার থানার ওসি দাবি করেছেন, ভুল বোঝাবুঝিতে এমন ঘটনা পরে মিটমাট হয়ে গেছে।
সার্জেন্ট আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অলি খাঁ মসজিদ মোড়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল চালককে থামাতে সংকেত দেন সাইফুদ্দিন। মোটরসাইকেলে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্র ছিলেন। কাগজপত্রে দেখা যায়, তার গাড়ির ইন্স্যুরেন্স কার্ড, লাইসেন্স নেই।
সাইফুদ্দিন বিষয়টি আরিফ হোসেনকে জানানোর পর তিনি মামলা লিপিবদ্ধ করা শুরু করেন। এর মধ্যে ওই ছেলেটি সাইফুদ্দিনকে জানান, গাড়িটি তার বড় ভাইয়ের- কাগজপত্র আছে। ছেলেটি টেলিফোনে ছাত্রলীগ নেতা সুভাষ মল্লিক সবুজের সঙ্গে কথা বলেন এবং সাইফুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। অদূরে মামলা নথিভুক্ত করতে ব্যস্ত থাকায় আরিফ হোসেন বিষয়টি জানতেন না। মামলা প্রস্তুত করে ছেলেটিকে ডেকে কাগজ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন আকস্মিকভাবে সবুজের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন তরুণ আরিফের হাত থেকে সেই কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় তারা মামলা লিপিবদ্ধ করার সরকারি বইটিও ছিঁড়ে ফেলে। তারা দুই সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয় এবং লাঞ্ছিত করে।
এই ঘটনার পর নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে চকবাজার থানায় গিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন সার্জেন্ট আরিফ হোসেন। রাতে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, দু’জন ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজের কয়েকজন ছাত্রের সামান্য হাতাহাতি হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।