পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সরকারি সদর হাসপাতাল নানা সমস্যায় জর্জরিত। জরাজীর্ণ ভবন, চিকিৎসক সঙ্কট, নষ্ট ও অকেজো চিকিৎসা যন্ত্রপাতিসহ অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ন্যায্য সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের আবাসিক ভবনগুলোও জরাজীর্ণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।
মহিলা রোগী রোখসানা আক্তার বলেন, চরমভাবে অবহেলিত হয়ে পড়েছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর হাসপাতালটি। পয়ঃনিষ্কাসন ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান। এক কথায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হাসপাতালটি। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন শত শত রোগী আসে বর্হিবিভাগে চিকিৎসার জন্য। মোহাম্মদ মিজানুর রহমান নামের আরেকজন রোগী বলেন, ডাক্তার স্বল্পতার কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ডাক্তারের সাক্ষাৎ মিললেও নামমাত্র চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফিরতে হয়। অনেক সময় ব্যবস্থাপত্র মিললেও ঔষধ মিলেনা।
চিকিৎসা নিতে আসা ইসলামপুর গ্রামের কৃষক মো. জাফর বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আসবাবপত্রও নেই। জরুরী বিদুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় একমাত্র জেনারেটরটি দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি প্রায়ই সময় বিকল থাকে।
কয়েকজন রোগী জানায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিজেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীরা উল্টো চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। হাসপাতালের জরাজীর্ণ ছাদের আস্তর প্রায় সময় মানুষের উপর খসে পড়ছে। আস্তর সহকারে বৈদ্যুতিক পাখা ছাদ থেকে খসে পড়েছে। ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের সবকটি পাখা খুলে ফেলেন। সামান্য বৃষ্টি হলে হাসপাতালের ভিতরে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ইনডোরে রোগীদের থাকতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা এই হাসপাতালে ৫০ শয্যার মধ্যে মহিলা রোগীদের জন্য ৩০ আসন এবং পুরুষদের জন্য ২০টি আসন রয়েছে। যন্ত্রপাতির অভাবে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটর ১৪ বছরেও চালু করা যায়নি। অপারেশন থিয়েটরে সার্জারী এবং এনেস্তেশিয়া কনসালটেন্ট নাই। এনেস্তেশিয়া মেশিন থাকলেও প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য্য গ্যাস ব্যবস্থা নাই। অপারেশন কক্ষে জীবানু মুক্তকরণ অটোগ্ল্যাব মেশিন নাই। যার কারণে অপারেশন চিকিৎসা হাসপাতালে চালুকরা যায়নি। টেকনিশিয়ান না থাকায় হাসপাতালের এক্সেমেশিন বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে ৮ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৪ জন আছেন। তাও ২ জনকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সপ্তাহের বেশীরভাগ দিন কাজ করতে হয়। ১৩ জন মেডিক্যাল অফিসারের স্থলে আছেন মাত্র ৫ জন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইফতেখার হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও ডাক্তার নার্স এবং কর্মচারীগণের আবাসিক ভবনগুলোও খুবই জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে। এখানে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। পানি বিদুৎ সংকটসহ নানা দুরাবস্থায় কর্মচারীদের বসবাস করতে হয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোমিনুর রহমান জানান, হাসপাতালটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। জরাজীর্ণ পুরাতন ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনের পুনঃনির্মাণ এবং সংস্কার করা জরুরি। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।