পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সম্পন্ন হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদসহ সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার পর এ জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী সৈয়দ আশরাফকে। এর পরপরই তার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। তারপর মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
সর্বস্তরের জনতার জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে মরহুম আশরাফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় আশরাফের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
সংসদ ভবন প্লাজায় জানাজা শেষে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে। বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে সম্পন্ন হবে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। তার তৃতীয় জানাজা হবে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। সেখান থেকে ফের ঢাকায় এনে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সৈয়দ আশরাফকে।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৩ জানুয়ারি রাতে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফ।
ব্যাংকক থেকে ৪ জানুয়ারি একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয় তার লাশ। বিমানবন্দর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিয়ে যাওয়া হয় তার বেইলি রোডের বাসায়। সেখানে মরহুমকে শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করেন দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা-সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। পরে বাসভবন থেকে মরহুমের মরদেহ নিয়ে রাখা হয় সিএমএইচে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।