বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের ৬টি আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
দিনাজপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৭২ অনুযায়ী কোন প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১২ দশমিক ৫ শতাংশের কম পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সে হিসেবে দিনাজপুর জেলায় ৬টি আসনে নির্বাচিত প্রার্থী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মিলে ১২ জন প্রার্থী ছাড়া অপর ২২ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে দিনাজপুর-১ আসনে ৬ জনের মধ্যে ৪ জন, দিনাজপুর-২ আসনে ৬ জনের মধ্যে ৪ জন, দিনাজপুর-৩ আসনে ৫ জনের মধ্যে ৩ জন, দিনাজপুর-৪ আসনে ৭ জনের মধ্যে ৫ জন, দিনাজপুর-৫ আসনে ৬ জনের মধ্যে ৪ জন এবং দিনাজপুর-৬ আসনে ৪ জনের মধ্যে ২ জন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম জানান, দিনাজপুর-১ আসনে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭০ জন। ভোট পড়েছে ৮৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই আসনে মোট ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মো. আরিফুল ইসলাম ০ দশমিক ২০ শতাংশ (৫৯২ ভোট), ইসলামী আন্দোলন মো. আশরাফুল আলম ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ (১৬৮১ ভোট), জাতীয় পার্টির শাহিনুর ইসলাম ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ (২২০৮ ভোট), মুসলিম লীগের সৈয়দ মনজুর-উল করিম ০ দশমিক ৭ শতাংশ (২২২ ভোট) পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।
দিনাজপুর-২ আসনে ৩ লাখ ৬ হাজার ৫৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৫৭ জন। ভোট পড়েছে ৮৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এই আসনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মুসলিম লীগের মো. এরশাত হোসেন ০ দশমিক ৬ শতাংশ (১৬৮ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. জুলফিকার হোসেন ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ (৮৭৩ ভোট), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোকাররম হোসেন ০ দশমিক ২৪ শতাংশ (৬১৬ ভোট) এবং ইসলামী আন্দোলনের মো. হাবিবর রহমান ০ দশমিক ২২ শতাংশ (৫৮৫ ভোট) ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছে।
দিনাজপুর-৩ আসনে ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮২ হাজার ২৫৫ জন। ভোট পড়েছে ৮০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই আসনে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টির মো. বদিউজ্জামান ১ দশমিক ৮২ শতাংশ (৫১৫৩ ভোট), বিকল্প ধারা মো. আশরাফুল ইসলাম ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ (১৩৭৫ ভোট) এবং মুসলিম লীগের সৈয়দ মাহমুদ-উল করিম ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ (৯৫৪ ভোট) ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছে।
দিনাজপুর-৪ আসনে ৩ লাখ ৪২ লাখ ৮৭৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৫ জন। ভোট পড়েছে ৭৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মোট ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন মোঃ মিজানুর রহমান ০ দশমিক ২০ শতাংশ (৫৭২), মুসলিম লীগের মো. মোজাফফর হোসেন ০ দশমিক ৭ শতাংশ (২০১ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. মোনাজাত চৌধুরী ০ দশমিক ১৭ শতাংশ (৪৮৭ ভোট), কমিউনিস্ট পার্টির রেয়াজুল ইসলাম ০ দশমিক ১৭ শতাংশ (৪৬৭ ভোট) ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোঃ সাজেদুল ইসলাম চৌধুরী ০ দশমিক ৯ শতাংশ (২৬৬ ভোট) পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছে।
দিনাজপুর-৫ আসনে মোট ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৮ জন ভোটার। ভোট পড়েছে ৮১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এই আসনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন মোঃ মতিউর রহমান ১ দশমিক ৬ শতাংশ (৩৪৮০ ভোট), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. শওকত আলী ০ দশমিক ৪ শতাংশ (১৫০ ভোট), মুসলিম লীগের মোঃ শফিকুল ইসলাম ০ দশমিক ৪ শতাংশ (১৪৭ ভোট) ও জাতীয় পার্টির মো. সোলায়মান সামী ০ দশমিক ২১ শতাংশ (৬৯০ ভোট) পাওয়ায় জামানত হারিয়েছে।
দিনাজপুর-৬ আসনে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৯ জন। ভোট পড়েছে ৭৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। এই আসনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন মো. নুর আলম সিদ্দিক ০ দশমিক ৮০ শতাংশ (২৯০৬ ভোট) এবং পিপলস পার্টির সাহিদা খাতুন ০ দশমিক ১৫ শতাংশ (৫৭০ ভোট) পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।