পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পোশাক খাতের উপর ভরাসা করেই সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল সদ্য সমাপ্ত ২০১৮ সালে। কিন্তু বছরজুড়ে ঋণাত্বক পরিসংখ্যানের বাইরে বের হতে পারেনি চামড়া খাত। বাংলাদেশের চামড়া রপ্তানি আয়ের উপর চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ ও ট্যানারি শিল্প নগরীর স্থানান্তরকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৫৩ কোটি ২৩ লাখ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে। কিন্তু আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ডলার। সুতরাং আগের বছরের তুলনায় এবছরের রপ্তানি আয় কমেছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ট্যানারি এসোসিয়েশনের মতে, সাভারে পরিকল্পিত ট্যানারি শিল্প গড়ে না ওঠার আগেই ভুল তথ্য দিয়ে ট্যানারি মালিকদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছিলো। এখানে যেসব ট্যানারি মালিক বিনিয়োগ করেছিলো তাদের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্যানারি ব্যবসার এই সংকট নিরসনে সরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে ট্যানারি এসোসিয়েশন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছিল ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। নতুন অর্থবছরে এসেও এক অবস্থা বিরাজ করছে এখানে। ২০১৮ সালের শেষ ছয় মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলেসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলম মোয়াজ্জেম বলেন, সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের চামড়া খাতে। কারণ বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতো চীন। সেই চামড়া দিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানের পণ্য তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে তারা। এক্ষেত্রে চীনের জন্য একটি বড় বাজার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীনের চামড়াজাত পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে চীনের চাহিদা কমার পাশাপাশি কমেছে বাংলাদেশের রপ্তানি। আলোচ্য ছয় মাসে চামড়ার পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, চিংড়ি, জাহাজ ও নৌকা ও সিমেন্ট রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।