পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশে প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং শিল্পের কালি তৈরির কারখানা স্থাপন করছে জাপানের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান সাকাটা ইঙ্কস। দেড় বছরের মধ্যে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে পাঁচ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে কারখানা। ১০ মিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগে প্রায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) কার্যালয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের সঙ্গে জমি ইজারা চুক্তি করে সাকাটা ইঙ্কস বাংলাদেশ। মেঘনা গ্রæপের পরিচালক তানভীর আহমেদ মোস্তফা ও সাকাটা ইঙ্কস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ভি. কে শেঠ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্বব্যাপী কালির বাণিজ্যে যুক্ত সাকাতা ইঙ্কস করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৯৬ সালে, জাপানের ওসাকায়। ব্যবসায় সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, চায়না, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন সাকাটা। ভারতে অবস্থিত সাকাটা ইঙ্কসের তত্ত¡াবধানেই ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় সাকাটা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেড় বছরের মধ্যে কারখানা স্থাপনসহ সব কাজ শেষ করে উৎপাদনে যাবে সাকাটা ইঙ্কস। উৎপাদন শুরু হলে একদিকে যেমন প্যাকেজিং শিল্পের কালির জন্য আমদানি নির্ভরতা কমবে; অন্যদিকে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় ১১০ একর জমি নিয়ে অবস্থিত। মেঘনা গ্রæপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এটি। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রিন্টিং কালির বাজার রয়েছে যা আমদানি নির্ভর। দেশে এ ধরনের কারখানা প্রতিষ্ঠার ফলে দেশীয় বাজার সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।