Inqilab Logo

শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আর কবে হবে ত্রিমোহিনী বাজার সেতু

কেশবপুর (যশোর) থেকে মোঃ রুহুল কুদ্দুস | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছরেও নির্মিত হয়নি কেশবপুরের সীমান্তবর্তী ত্রিমোহিনী বাজারে কপোতাক্ষ নদের সেতু। প্রতিদিন হাজারও যাত্রী, শত শত শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নদের দুপারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। ফলে সেতু নির্মাণ এখন দুপারের মানুষের কাছে সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবিটি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।

এলাকাবাসী জানান, কেশবপুরের ত্রিমোহিনী এলাকার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সাতক্ষীরার কলারোয়া অঞ্চলে এবং সাতক্ষীরার মানুষকে এ অঞ্চলে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু একটি মাত্র সেতুর অভাবে এক কিমি পথ যেতে এসব মানুষকে ঘুরতে হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ। যা ভূক্তভোগীদের জন্য যেমন বিড়াম্বনার তেমনি সময়ও নষ্ট হয়। তাই এলাকার মানুষ প্রতিবারই উন্মুখ হয়ে থাকেন এবার না হলেও সামনের বার কোনো মন্ত্রী-এমপিরা অনন্ত সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেবেন। কেশবপুর সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ত্রিমোহিনী বাজারের পাশের কপোতাক্ষ নদের ওপর মাত্র আধাকিলোমিটার সেতু নির্মাণ করা হলে কেশবপুর উপজেলাসহ কপোতাক্ষ নদ এলাকার মানুষকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা শহরে যেতে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো না। যার কারণে কপোতাক্ষ নদের ওপারের দেয়াড়া যাওয়াসহ তীরবর্তী এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।

ত্রিমোহিনী বাজারের সাকোর পাশের দোকানদার স্বপন দত্ত জানান, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির অনেক দূর, আর সে কথা বিবেচনা করে ঘাটের টোল তোলা বন্ধ করে কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী এলাকার দু‘পারের মানুষ নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশ ক্রয় করে নির্মাণ করেছেন বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিনই আত্মীয়র বাড়ি যাওয়া, নিজেদের প্রয়োজনে কেশবপুর থেকে আসা পথচারী, ভ্যান, মোটরসাইকেল এবং ওপারের দেয়াড়া, খোরদো, বাটরা, পাকড়িয়া, বামনখালি, কামারারলিসহ ১০/১২ গ্রামের হাজারও যাত্রী সাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। সেতু না থাকায় বাইসাইকেল, ভ্যান ও মোটরসাইকেলই তাদের একমাত্র বাহন। কিন্তু অর্থাভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাকোটি মেরামত না করায় তা ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গেছে। এর ওপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে ওপারের শত শত স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীকে এপারের ত্রিমোহিনী বাজারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে আসতে হয়। এছাড়া ভারতে যেতেও ওই সাকোটি ব্যবহার করতে হয় মানুষকে।

হাজরাকাটি গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের হলেও সে দাবি বাস্তবায়নে কারো মাথা ব্যথা নেই। নদের উপর একটি সেতু নির্মিত হলে মানুষকে ২০ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করতে হতো না। এখানকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতো। প্রতিবারের মতো এবারও উভয় পারের মানুষ অধির আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন আগামী নতুন সংসদ বা সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের সুদৃষ্টিতে হবে নতুন সেতু নির্মাণ ? এমন খবরে কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী এলাকার মানুষ আশায় বুক বেঁধেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মুনছুর আলী বলেন, ওই স্থানে সেতুটি নির্মাণের জন্যে কয়েকবার প্রাক্কলন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে সেতুটি নির্মাণ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ত্রিমোহিনী বাজার সেতু
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ