Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘ঘি’র ব্যবসা বাবুর্চিদের নিয়ন্ত্রণে!

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

রাউজানে প্রতিটি বাজারের ‘ঘি’র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বাবুর্চীরা। জানা যায়, রাউজানে বৃহত্তম ফকিরহাটসহ প্রতিটি হাট-বাজারে যারা ঘি ব্যাবসা করে থাকেন তা নিয়ন্ত্রন কিংবা সেল করান অধিকাংশ বাবুর্চীরা। সূত্রমতে বাবুর্চীর পছন্দের ঘি নাহলে অনেক সময় রান্নাবান্না নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় আয়োজকদের। অভিযোগ রয়েছে রাউজানে কমপক্ষে ৩ শতাধিক বাবুর্চীর সাথে গোপন যোগাযোগ রয়েছে ঘি কোম্পানী কিংবা এজেন্টদের সাথে। নিজেদের সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে বাবুর্চীরা ফায়দা হাসিলের জন্য আসল, নকল, ভাল, মন্দ কোয়ালিটি তোয়াক্ষা না করে ইচ্ছা মাফিক ঘি লিখেই দেন। সে সুবাদে বাবুর্চীদের পকেটে অলিখিত টোকেনের শত-শত টাকা ডুকে যায়, প্রতিটি ছোট বড় খানা, মেজবানী, বিয়ে, আকিকাসহ ঘি’র প্রয়োজন সকল অনুষ্ঠান থেকে।

ছোট বড় অনুষ্টানের জন্য বাবুর্চী যে যত ঘি লিখতে পারবে তার তত কমিশন পৌঁছে যায় তার নামে। প্রতিটি ঘির পাত্রের ভেতরে কোম্পানির পক্ষ থেকে এক/দুই লেখা প্লাস্টিকের টোকেন ডুকিয়ে দেয়া হয়। আর ঘি ব্যাবহার করে ১/২ নাম্বারের টোকেনগুলো এজেন্টদার কিংবা ঘি ক্রয় করা মুদি দোকানের সওদাগরকে বুঝিয়ে দিলে ১ দিয়ে ১০০ টাকা আর ২ দিয়ে ২০০ টাকা নগদে প্রাপ্ত হয়ে যান বাবুর্চীরা। এমন অভিযোগ রয়েছে বাবুর্চীরা টোকেন ব্যাবসা করে প্রতিটি খানা মেজবানী থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করলেও অনেকেই ঘির মান সম্পর্কে কিছুই বুজেন না। অনেক বাবুর্চী বলেই দেন ঘি যে কোম্পানিরটা লিখছি সেটি আনবেন, অন্য কোম্পানীর ঘি ভালো না, খাবার বরবাদ হয়ে যাবে। আবার অনেক আয়োজনকারী নিজেই নিজের পছন্দের ঘি নিয়ে আসলে বাবুর্চীর সাথে হৈ চৈ লেগে যায়। রাউজানে অনেক বাবুর্চী আছেন তারা বলে থাকেন আপনার খাবার তৈরীতে যেটি (ঘি) আপনার পছন্দের সেটি আনবেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে কম খরচে ভাল রান্না করে দেয়া। টোকেন দিয়ে ঘি বাজারজাত করে সাধারন ক্রেতাগনকে ধোকা দিচ্ছেন ঘি কোম্পানীরা। রাউজানে বিভিন্ন কোম্পানীর ঘি বিক্রি হলেও বাবুর্চী কিংবা সাধারন মানুষ জানেনা আসলে কোন কোম্পানীর ঘৃত মান সম্পন্ন কিংবা সাস্থ্য সম্মত। বিএসটি আই সহ প্রশাসনিক নজরদারী করে বাজারে বিক্রিত ঘি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার মনে করেন বিজ্ঞ মহল। রাউজানে যে সব ঘি বিক্রি হচ্ছে সেগুলো কতটুকু মান সম্মত তা আদৌ জানেনা কোন মহল। বিশেষ করে রাজবাড়ী,প্রাণ,ত্রী ষ্টার,অ-৭,পল্লী,ডানোফা,কুকমি,রয়েল সহ অনেক কোম্পানীর ঘি বিক্রি হয়ে থাকে রাউজানে। এগুলো বিক্রিতে যথাযথ মান সম্পন্ন কিনা তা দেখার দাবী সব মহলের। অনেকের প্রশ্ন আমরা সত্যি সত্যি কী ঘি খাচ্ছি, নাকী শরীরের জন্য রোগ কিনে নিচ্ছি। বেজাল ঘির কারনে আবার অনেকেই দুধের চানা হতে নিজে ঘি তৈরী করে ব্যাবহারও করেন বিক্রিও করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘি’র ব্যবসা বাবুর্চিদের নিয়ন্ত্রণে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ