৩০ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ (৩২) কে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষনের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিমকে দেখতে গিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এবং মানবাধিকার কমিশনের একটি দল।

বুধবার বিকেলে ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সন্ধ্যায় ভিকটিমকে দেখতে হাসপাতালে যান। এসময় ডিআইজির সাথে পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন।

এদিকে, বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি দল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের সাথে কথা বলেন। এসময় আইন ও সালিশি কেন্দ্রের তিন সদস্যের অপর একটি তদন্ত দল হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যরা হলো, আল মাহমুদ ফাইজুল কবির, গাজী সালাহ উদ্দিন ও স্ইুজমিতা পাইক এবং সালিস কেন্দ্রের তিন সদস্যারা হচ্ছেন, এড. সেলিনা আক্তার, নার্গিস আক্তার ও হাসিবুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ভোট কেন্দ্রে তর্কবিতর্কের জের ধরে ৩০ ডিসেম্বর রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচ’সহ ১০জন। এসময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও ৪ সন্তানকে বেধে রেখে (ভিকটিম) কে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এপর্যন্ত মামলার প্রধান আসামীসহ মোট ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।