বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিরোধী একটি দলকে ভোট দেওয়ায় অপরাধে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সস্তানের জননীকে (৪০) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে (৩৫) গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এপর্যন্ত এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামী সূবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে সোহেলকে গতকাল বুধবার দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি দল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একটি ইট ভাটা থেকে গ্রেফতার করে তাকে নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে গত মঙলবার রাতে লক্ষীপুর থেকে একই মামালা আরো দুই আসামী সুবণ্যচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যাগ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু ওরফে বাদশা আলম (৪০) কে চরজাব্বার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদেরকে গ্রেপ্তারে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতেৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বেশ কয়েকটি দল অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর (রবিবার) ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক ওই নারীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় তারা তাকে হুমকি দেন। পরে তিনি কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান। এরপর রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে একই এলাকার ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তার স্বামী ও সন্তানকে বেঁধে রেখে তারা তাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।