বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলার চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় স্থানীয় ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি দুর্বৃত্তদের ৪টি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত একজনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় চরফ্যাসন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের পালোয়ান বাড়ির পূর্ব পাশের এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ব্যক্তি হলেন, চরফ্যাসন উপজেলা মৎস্যলীগের সভাপতি সফিউল্লাহ পালোয়ান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চরফ্যাসন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান (২০) এর সাথে একই এলাকার নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে বাট্টু নিয়াজ (১৯) তাদের মুদি দোকানের পণ্য কেনার আটশ টাকা দিতে বিলম্ব করায় তর্ক-বিতর্কে সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণ পরেই নিয়াজ ও তার সহযোগী জোবায়ের সওদাগরসহ ১০-১২জন যুবক মিজানকে রাস্তা থেকে টেনে হিছড়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে এলোপাতারি বিদ্যুতের মোটা তার ও লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে (মিজান) চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিজানুর রহমান (২০) চরফ্যাসন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা। পিতা মৃত আনা মিয়ার ছেলে। অপরদিকে নিয়াজ মোর্শেদ একই এলাকার বাসিন্দা। সে মোজাম্মেল হক’র ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার পরে একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা চরফ্যাসন উপজেলা মৎস্যলীগের সভাপতি সফিউল্লাহ পালোয়ান, শাহে আলম মিয়া, সাবেক কমিশনার তানভীর, মৎস্যলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ববলু পালোয়ান ও বসুলাটসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের লক্ষে নিয়াজ’র পিতা মোজাম্মেল হককে তাদের দোকানটি সাময়িক বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা (নিয়াজ ও তার পিতা মোজাম্মেল হক) দোকান বন্ধ না রেখেই নিজেদের আধিপাত্য বিস্তার করতে ০৯টি মটরসাইকেলযোগে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের পথ গতিরোধ করে আটকাতে চাইলে স্থানীয়দের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এতে সফিউল্লাহ পালোয়ানসহ প্রায় ১০জন স্থানীয় ব্যক্তি আহত হয়।
এসময় উত্তেজিত নারী-পুরুষ সন্ত্রাসীদের দাওয়া করলে তাঁরা (সন্ত্রাসীরা) মটরসাইকেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি সন্ত্রাসীদের ৪টি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
চরফ্যাসন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার ইমরান হোসেন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তিনটি মটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে অন্য একটির আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
চরফ্যাসন থানার এস.আই জাহাঙ্গির বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।